এই শীতে আপনার বারান্দা সাজান ফুলে ফুলে

  28-10-2014 09:57PM

পিএনএস : শীতকালের সবচাইতে সাধারণ যে ফুল, তার নাম গাঁদা। খুব সহজেই এই ফুলটি ফোটে বাগানে কিংবা আপনার বারান্দার টবে। টবে গাঁদা ছাড়াও শীতকালে অন্য যে ফুলগুলো ফোটানো যায় তাঁদের মাঝে শীর্ষে আছে ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা। গাঁদার অনেকগুলো জাত তো আছেই, পাশাপাশি আছে চন্দ্রমল্লিকারও অনেকগুলো জাত। এদের মাঝে বড় ফুলের কোঁকড়ানো পাপড়ির স্নোবল জাতটি অত্যন্ত আকর্ষণীয়। চন্দ্রমল্লিকা ফুল অনেক দিন টবে ফোটা থাকে, ফুলও ফোটে অনেক। ডালিয়া ফোটাতে চাইলে মাত্র মাস খানেক সময় হলেই চলবে। নার্সারি থেকে চারা এনে লাগিয়ে যত্ন করলে মাস খানেক পর থেকেই ফুল ফুটতে শুরু করবে এবং জাতভেদে মার্চ পর্যন্ত ফুল দেবে। আসুন, জেনে নিই এই তিন জাতের ফুল গাছ লাগানো ও যত্নআত্তি সম্পর্কে।

যেভাবে লাগাবেন

গাঁদা ফুলের গাছ আপনি নার্সারি থেকে কিনা আনতে পারেন। আবার তৈরি করে নিতে পারেন ঘরেও। শুকনো গাঁদা ফুলের পাপড়ি ভেজা মাটিতে ছড়িয়ে রাখলেই কিছুদিন পর দেখবেন সুন্দর চারা হয়েছে। ডালিয়া ও চন্দ্রমল্লিকা নার্সারি থেকে কেনাই ভালো।
ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, ইনকা গাঁদা ইত্যাদি লাগাতে পারেন ১০-১২ ইঞ্চি টবে। টবের আকৃতি অনুযায়ী, মাটির সঙ্গে টবপ্রতি ১৫০ থেকে ২৫০ গ্রাম প্যাকেটের জৈব সার, কম্পোস্ট বা ভার্মিকম্পোস্ট মিশিয়ে টব ভরবেন। পলিব্যাগের চারা টবের মাঝখানে সোজা করে লাগিয়ে চারার গোড়ার মাটি দুই হাতের আঙুল দিয়ে চেপে শক্ত করে দেবেন। এরপর পানি দেবেন। টবে আপাতত আর কোনো সার দেওয়ার দরকার হবে না। এখন প্রয়োজন কেবলই যত্নআত্তি।

ফুলের যত্ন

জৈব সার কয়েক দিন পরপর অল্প করে গাছের গোড়ার চারদিকে দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবেন, অন্তত কুঁড়ি না আসা পর্যন্ত। টব রাখবেন রোদে, ছাদে বা ব্যালকনিতে। গাছে পানি দেওয়ার সময় শুধু গাছের গোড়ায় পানি না দিয়ে ঝাঁঝরি দিয়ে গাছের ওপর থেকে বৃষ্টির মতো গাছ-পাতা ভিজিয়ে নিয়মিত হালকা পানি দিন। এতে গাছ বেশি সতেজ হবে। জৈব সার কয়েক দিন পরপর অল্প করে গাছের গোড়ার চারদিকে দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবেন, অন্তত কুঁড়ি না আসা পর্যন্ত।
ডালিয়া ও চন্দ্রমল্লিকা গাছে কাঠি পুঁতে ঠেস দেবেন। গাঁদা ফুলের আকার বড় করতে চাইলে প্রথম কুঁড়িগুলো নখ দিয়ে খুঁটে ভেঙে দিন। এতে ফুল বড় হবে এবং বেশি ফুল ফুটবে। ফুল শুকাতে শুরু করলে দ্রুত তা গাছ থেকে কেটে ফেলুন। তবে আর দেরি কেন, এই শীতে আপনার বারান্দাও সেজে উঠুক ফুলে ফুলে।


পিএনএস/সাইয়িদুজ্জামান/শাবী

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন