ইউরোপে দাম কম চিংড়ির, লোকসানের মুখে দেশী চাষিরা

  07-10-2017 01:24AM

পিএনএস, খুলনা:মৌসুমের শুরুতে গলদা চিংড়ির দর আরেক দফা কমেছে। ফলে লোকসানের মুখে পড়েছে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার কয়েক লাখ প্রান্তিক চিংড়ি চাষি।

পাশাপাশি ইউরোপের বাজারগুলোয় গলদার চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানি নেমেছে প্রায় অর্ধেকে। মত্স্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিকল্প বাজার হিসেবে আমেরিকাকে নিয়ে ভাবছেন রপ্তানিকারকরা। জানা যায়, গত বছর মাঝারি গ্রেডের যে গলদা বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকায়। আর ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকার ৬/৭ গ্রেডের (বড়) গলদা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়। পরপর দুই বছর গলদা চাষ লাভজনক না হওয়ায় আগ্রহ হারাচ্ছে চাষিরা। খুলনার ডুমুরিয়া এলাকার প্রান্তিক চাষি আমিরুল ইসলাম জানান, বিগত দুই বছর যাবৎ চিংড়ির বাজার দর কমছে। এবার কেজিতে দাম কমেছে ৬০০ টাকা। এতে জমির হাঁড়ির টাকা (ব্যবস্থাপনা ব্যয়), চিংড়ির খাবার, পোনা কেনা ও উৎপাদন খরচ মেটাতে লোকসানের মুখে পড়েছে চাষিরা।

রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, ইউরোপের বাজারে ‘রিচ ফুড’ হিসেবে গলদার চাহিদা কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মত্স্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ, খুলনার তথ্যানুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে খুলনা অঞ্চল থেকে গলদা রপ্তানি হয়েছে ৫ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন; যার মূল্য প্রায় ৬৩৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সেখানে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে গলদা রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১৭৭ মেট্রিক টন; যার মূল্য ২১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মো. তারিকুল ইসলাম জহির জানান, ইউরোপের বাজারে পাউন্ডের দরপতনে ক্রেতাদের কাছে গত বছরের চিংড়ির বেশ কিছু মজুদ রয়ে গেছে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তারা এ বছর গলদার দর অনেক কম দিচ্ছে। এতে অভ্যন্তরীণ বাজারগুলোতেও গলদার দাম কমছে।

মত্স্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ, খুলনার বিভাগীয় কর্মকর্তা প্রফুল্ল কুমার সরকার জানান, ইউরোপের পাশাপাশি আমেরিকায় বিকল্প বাজার খোঁজার চেষ্টা করছেন রপ্তানিকারকরা। ইতিমধ্যে ৫০ টন বাগদার প্যাকেজ নিয়ে সেখানে দেনদরবার শুরু হয়েছে।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন