কৃষকের আর্তনাদ

  22-10-2017 05:09AM



পিএনএস ডেস্ক: আমনের বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেঁধেছিল কৃষক। কিন্তু নিমেষেই সেই স্বপ্ন হাড়ভাঙা খাটুনি সব যেন গুড়েবালি।

টানা দু-তিনদিনের প্রবল ঝড়োবৃষ্টিতে দেশের প্রায় সব অঞ্চলে ধানক্ষেতগুলো মাটির সঙ্গে নুয়ে পড়েছে। ফলে কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে না ওঠার শঙ্কা জেগেছে কৃষকের মনে।

বুক ফেটে অাত্মনাদ আর হাহাকার যেন ধরে রাখা রিতি মত কষ্টকর। একই সঙ্গে টানা এই বৃষ্টিতে দেশে আবারও ফসলহানির সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশেষত চলতি মৌসুমে বরেন্দ্র অঞ্চলের চাষিরা ভালো ফসলের সম্ভাবনা দেখছিল। কৃষকের মনে ছিল আনন্দের দোলা। আর এখন ক্ষতিগ্রস্ত সেই কৃষকরাই ফসল হারিয়ে দিশেহারা।

জানা গেছে, এবারের আবহাওয়া আমন চাষাবাদের অনুকুলে থাকায় এখনাকার কৃষকরা তাদের সর্বস্ব খুইয়ে আমন চাষাবাদ করেছিল। সে মতে কোন রকম আপদ বালাই ছাড়া ক্ষেতের ধান গাছগুলিও সুস্থ্যসবল আকৃতির হয়ে সারা মাঠ ভরপুর হয়ে উঠেছিল।

এবারের আমন ধান কৃষকের ঘরে উঠতে আর মাত্র ১৫/২০দিন বাকি। ধান ক্ষেতের চেহারা দেখে নবান্ন উৎসবের আনন্দে কৃষক যখন স্বপ্ন দেখছিল হঠাৎ সেই মহূর্তে বৈরী আবহাওয়া কার্তিক মাসের ঝড়ে কৃষকের সে স্বপ্ন ভেঙ্গে লণ্ড ভণ্ড করে দিল।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএফএম গোলাম ফারুক হোসেন জানান, এবারে সাপাহার উপজেলায় সর্বমোট ১৬হাজার ৫শ’হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ করা হয়েছে।

অতীতের যে কোন বছরের চেয়ে এবারে কৃষকের মাঠের ধান গাছের অবস্থা ভাল। কোন রকম আপদ বালাই না হলে এবারে সাপাহার উপজেলায় আমন চাষাবদের বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছিল।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর পোকামাকড়ের অত্যাচার হতে রেহাই পেলে এবার আমনের বাম্পার ফলন পাওয়া যেত। কিন্তু শেষ মহূর্তে এসে কার্তিক মাসের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই ঝড়ে কিছুটা হলেও কৃষকের ক্ষতি হয়েছে।

কৃষি অফিসের এক জরিপে এই ঝড়ে উপজেলায় কৃষকের প্রায় ৫০ হেক্টর জমির ধান হেলে মাটিতে শুয়ে পড়েছে তবে দু’এক দিনের মধ্যে প্রখর রোদ হলে আংশিক ধান গাছ সম্পূর্ন রুপে দাঁড়িয়ে যাবে।

প্রথমে আবাদের অবস্থা দেখে ফলনের যে আশা করা যাচ্ছিল বর্তমানে তা কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে। তবে উপজেলার একাধিক কৃষকের মতে ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি হবে তারা জানিয়েছেন।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন