রামপালে কৃষিতে নতুন দিগন্ত, চলতি বছরে আমনের চাষাবাদ বৃদ্ধি

  22-10-2017 05:00PM

পিএনএস, মোল্যা হাফিজুর রহমান (বাগেরহাট) : রামপালে নদী-খাল সচলে কৃষিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। চলতি বছরে আমনের চাষাবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে রামপাল উপজেলা কৃষি অধিদপপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আমন মৌসুম শুরু হওয়ার পূর্বেই উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৩ শত চাষিকে নতুন কৌশলে চাষাবাদ, উন্নত জাতের বীজ সরবরাহ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমনের আবাদ পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে।

উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নে ৩ শত ৮৫ হেক্টর জমির মধ্যে উফশী ৯০ হেক্টর ও দেশী জাতের ২ শত ৯৫ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। উজলকুড় ইউনিয়নে ২ শত ৫০ হেক্টর জমির মধ্যে উফশী ১ শত ১০ হেক্টর ও দেশী ১ শত ৬৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। বাইনতলা ইউনিয়নে ৭ শত ৬০ হেক্টর জমির মধ্যে উফশী আবাদ হয়েছে ৩ শত ১০ হেক্টর ও দেশী জাতের ৪ শত ৫০ হেক্টর। রামপাল সদর ইউনিয়নে হাজার ৫৫ হেক্টর জমির মধ্যে উফশী ২ শত ৭০ হেক্টর ও দেশী জাতের ৭ শত ৮৫ হেক্টর চাষ হয়েছে। রাজনগর ইউনিয়নে ১ শত হেক্টর জমির মধ্যে ৪০ হেক্টর উফশী ও ৬০ হেক্টর দেশী জাতের চাষ হয়েছে।

হুড়কা ইউনিয়নে ৫ শত হেক্টর জমির মধ্যে ১ শত হেক্টর উফশী ও ৪ শত হেক্টর দেশী জাতের চাষ হয়েছে। পেড়িখালী ইউনিয়নে হাজার ৫০ হেক্টর জমির মধ্যে ১ শত হেক্টর উফশী ও ৯ শত ৫০ হেক্টর দেশী জাতের চাষ হয়েছে। ভোজপাতিয়া ইউনিয়নে ৫০ হেক্টর জমির মধ্যে ১০ হেক্টর উফশী ও ৪০ হেক্টর দেশী জাতের চাষ হয়েছে। মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নে সব থেকে আমনের আবাদ বেশী হয়েছে। এ ইউনিয়নে ১৮ শত ১৫ হেক্টর জমির মধ্যে উফশীর আবাদ হয়ছে ৪ শত ৭৫ হেক্টর ও ১৩ শত ৪০ হেক্টর দেশী জাতের চাষ হয়েছে। বাঁশতলী ইউনিয়নে ৪ শত ৬০ হেক্টর জমির মধ্যে ৭৫ হেক্টর উফশী ও ৩ শত ৮৫ হেক্টর দেশী জাতের চাষ হয়েছে।

এ বিষয় কৃষক এম,এম মহিতুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আইলা পরবর্তী সময়ে লবনের তীব্রতার কারনে আমন আবাদ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে উন্নত পদ্ধতীতে চাষাবাদ করে মোটামুটি ভাল ফলনের আশা করছি। রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাসিরুল মিল্লাত জানান, পরিপূর্ণভাবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নতুন কৌশলে ৩ শত চাষিকে প্রশিক্ষন, পরামর্শ প্রদান ও উন্নত জাতের বীজ সরবরাহ করায় আমনের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং রোগ বালাই আক্রমনের কোন খবর পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও জানান, দেশি জাতের লাল মোটা ও সাদা মোটার পরিবর্তে ব্রী-ধান ৭৩, ৬২, ৭১, ৭৫ ও ৭৬ জাতের ধান আবাদ করলে হেক্টর প্রতি ৫ টন পর্যন্ত ধান উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এছাড়াও লবন শহনশীল ৫৪ জাতের আমন এবং ৪১, ৫৪ ও ৭৩ জাতের আবাদ করলেও ভাল ফলন পাওয়া যাবে বলে তিনি চাষিদের পরামর্শ প্রদান করেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ফলন বেশী পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। আমনের আবাদ বৃদ্ধি পাওয়া প্রসঙ্গে কথা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পালের সাথে।

তিনি জানান, এ বছর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষকদের নতুন কৌশলে চাষাবাদ বিষয়ক প্রশিক্ষন, চাষিদের পরামর্শ প্রদান ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সরকারি রেকর্ডীয় খালের বাঁধ উন্মুক্ত করায় আমনের আবাদ বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন