নীলফামারীতে বানিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে মাল্টা

  12-11-2017 08:43AM


পিএনএস, নীলফামারী: মাল্টা পাহাড়ি ফল হিসেবে পরিচিতি হলেও সমতল ভূমিতে ও রয়েছে এ ফলের ব্যাপক সম্ভবনা। উত্তরের কৃষি প্রধান এলাকা নীলফামারীতে বানিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন জাতের মাল্টার ।

মাটির গুনাগুন ঠিক থাকলে সমতল এলাকাতেও মাল্টা চাষ করে লাভবান হতে পারেন কৃষকরা এমনটাই জানিয়েছেন নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার সফল মাল্টা চাষি এস এম আব্দুল্লাহ।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের কাঁঠালতলী এখন পরিচিত মাল্টা গ্রাম হিসেবে। এই গ্রামের কৃষক এস এম আব্দুল্লাহ ১০ বিঘা জমিতে ১২ বছর আগে ৫০ টি মাল্টার চারা রোপন করেন। বছর খানেকের মধ্যেই গাছে ফল ধরে। তিনি জানান, মৌসুমে একটা মালটা গাছে দেড় মন থেকে দু মন মালটা ধরে। তার বাগানের মালটার সুনাম রয়েছে এলাকা জুড়ে। অন্যান্য মালটার চেয়ে এই বাগানের মালটা খেতে সুস্বাদু এবং বাজারে প্রচুর চাহিদা রযেছে।

এস,এম আব্দুল্লাহ বলেন, মালটার বাগান করছি ১০/১২ বছর আগে। এই মালটাগুলো বেশির ভাগই নাগপুরী, দার্জিলিং ও পাকিস্তানের।

এই মালটার কোয়ালিটি খুবই ভালো। এখানে দুর-দুরান্ত থেকে মানুষ আসে মালটার চারা নিয়ে যায়। মালটা চাষ লাভজনক। মালটা এবং এর চারা গাছের চাহিদা থাকায় বানিজ্যিক ভাবে বিক্রির জন্য গত বছর বিদেশী উন্নতজাতের নাগপুরী, দার্জিলিং, মরক্কো, ভারত, পাকিস্তানী এবং সরকারী বারী-১ জাতের আরো ৭শত মালটার চারা রোপন করি।

এগুলোতে আগামী বছরে ফল ধরা শুরু করবে। আমার বাগানের মালটার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দুর-দুরান্ত থেকে ফল বিক্রেতারা এসে বাগান থেকে মালটা নিয়ে যায়। মালটা মৌসুমে একবার আসে কিন্তু চারা বিক্রি হয় সারা বছর। চারা লাগানোর এক বছরের মধ্যে ফল আসে এটা লাভজনক ব্যবসা।

তিনি আরো জানান, বাগানে আমি কোন কীটনাশক ব্যবহার করিনা। জৈব সার এবং আমার নিজস্ব উদ্ভাবিত প্রযুক্তিতে পোকা-মাকড় নিধন করি। এখানকার মাটিতে উপরে বালু এবং নিচে পাথর রয়েছে তাই এখানকার মাটি মালটা চাষের উপযোগী।

ডোমার কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ কর্মকর্তা জাফর ইকবাল বলেন, এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া এ ধরনের বাগান করার ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী। যে কেউ লাভজনক সমন্বিত বাগান করতে এগিয়ে এলে এখান থেকে চারা নিয়ে অনায়াসেই নতুন বাগান করতে পারবেন বলে মনে করেন এই কৃষিবিদ।

পিএনএস/আনোয়ার


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন