পিএনএস, তানোর (রাজশাহী) সংবাদদাতা : শহর থেকে গ্রাম। একদল বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ছুটে এসছেন প্রান্তিক গ্রামে। কৃষি ও কৃষকদের স্বায়ীত্বশীল কৃষি জ্ঞান আহরণ ও কৃষকের পণ্য ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তির জন্য প্রচারণা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বোরো চারাবীজ তোলা, তা জমিতে লাগানো।
গমের জমিতে গম কাটা, তা মাথায় করে কৃষকের বাড়ির উঠানে নিয়ে গিয়ে মাড়ায় করা। আর বেলা শেষে বাড়ি ফিরে কৃষকদের মতো মাটিতে বসে খাওয়া। তবে খাওয়াতেও ছিল ভিন্নতা। ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে ৫২টি দেশীয় ধানের ভাত ও ২১প্রজাতির অচাষকৃত শাকসবজি দিয়ে দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। আর এই আয়োজনটি করেন স্থানীয় দুবইল গ্রামের লুপ্ত ধান সংরক্ষক ও জাতীয় পরিবেশ পদক প্রাপ্ত কৃষক ইউসুফ আলী মোল্লা।
বরেন্দ্র শিক্ষা, সংষ্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা কেন্দ্রের সদস্যরা কৃষি জ্ঞান আহরণ ও কৃষকের পণ্যের ন্যয্যমূল্য প্রাপ্তিতে বনে গেছেন কৃষক। বলেছেন, ‘আমার কৃষক, কৃষকের আমি।’ বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজিনাস নলেজ (বারসিক) এর সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের এমন চিত্র সরজমিন দেখা যায় গতকাল মঙ্গলবার দুবইল গ্রামে।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র শিক্ষা সংষ্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা কেন্দ্রের জিনাত ইল নেসা, জরিনা জরি, ফারহানা আঁখি, উজ্জ্বল হোসনে, শাকিল, সামিউল প্রমুখ। সকলই জানান তাদের কষ্টের অভিজ্ঞতার কথা। তাদের আনন্দের কথা। প্রশিক্ষণ শেষে তারা সরাসরি কৃষকের জমিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে দেখাবেন।
সভাপতি জাওসেদ আহম্মেদ রাফি জানান, কৃষকদের এমন কষ্ট করে জমিতে ফসল ফলায় তা আগে কখনও উপলব্ধি করিনি। অথচ আমরা কেউ কৃষক হতে চায় না। তাছাড়া কৃষকদের এতো কষ্টের ফসলের ন্যায্য মূল্যও পান না। এটা অত্যন্ত কষ্টের বিষয়।
পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল
‘আমার কৃষক, কৃষকের আমি’
07-02-2018 05:35PM