তানোরে আগাম আলু চাষে ফলন ভালো

  09-02-2018 03:05PM

পিএনএস, তানোর (রাজশাহী) সংবাদদাতা: মাঘের শেষে রাজশাহীর তানোর উপজেলার প্রান্তিক অঞ্চলের সবজি চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলার ৭ ইউনিয়ন ও ২ পৌরসভায় উচ্চ ও সমতল ভূমিতে আগাম ডায়মন্ড, কাডিনাল ও দেশী গোলআলু, বেগুন, টমেটো, মটর শুটি, মরিচ, সরিষা, পটল, গম ইত্যাদি চাষ করে ভালো ফলনের আশায় দিনের পর দিন কাজ করে যাচ্ছেন চাষিরা। আবার অনেক চাষি এক ফসলি জমিতে তিন ফসল চাষ করছেন। মাচান এ ঝুলছে শিম, লাউ, বরবটি, বেগুন, আর মাটির নিচে আলু।

এ ধরণের সবজি ফলিয়ে উপজেলার অনেক সবজি চাষি স্বাবলম্বীও হয়েছেন। ক্ষেতের এসব সবজি চাষ করে সাংসারিক খরচ মিটিয়ে বাড়তি কিছুও সঞ্চয় করছেন। শ্রম ও খরচ কম হওয়ায় এ ধরণের সবজি চাষ তানোরে সবজি চাষিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। অপরদিকে এবার আলু চাষিদের ক্ষেতে তেমন রোগবালাই না দেখা দেয়ায় ও আলুর গাছ ভালো হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা।

উপসহকারী কর্মকর্তা ডিএফএম এমদাদুল হক জানান, এক ফসলি জমি হয়েছে তিন ফসলি। যে জমিতে আগে মাত্র একবার ধানি ফসল বা সবজি ফলতো এখন সে জমিতে আলু/সবজি, বোরো ও আমন ধান চাষ হচ্ছে।

সরজমিন পরিদর্শনে পৌর এলাকার তালন্দ, গোকুল, চাপড়া, গুবিরপাড়া, আমশো, জিওল, ভদ্রখন্ড, কালীগঞ্জ, মাসিন্দা গিয়ে দেখা যায়, চারিদিকে সবুজের সমারহ শীতকালীন সবজি আলুর চাষ। কিছু পরিপক্ব আবার কিছু এখনো অপরিপক্ব ক্ষেত। যারা আগাম আলু চাষ করছেন তাদের ফলন যথেষ্ট হয়েছে। আগাম যারা চাষ করেছেন তারা এখন ক্ষেত থেকে আলু তুলছেন।

তানোর পৌর এলাকার গুবিরপাড়া গ্রামের আগাম আলু চাষি শহিদুল ইসলাম ইত্তেফাককে জানান, তিনি বুধবার, ২দিন আগে ১বিঘা জমির চাষকৃত ডায়মন্ড আলু ক্ষেত থেকে তুলে বাজারে বিক্রি করেছেন। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১০টাকা কেজি দরে। এ ক্ষেত করতে তার শ্রমসহ মোট খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। তিনি ৪০ হাজার টাকার আলু বিক্রি করেছেন। আলু বিক্রি তার আনুমানিক ১৫ হাজার টাকা আয় হয়েছে বলে জানান।

উপজেলার দুবইল গ্রামের সরিষা চাষি গোলাম মোস্তফা জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ৮বিঘা জমিতে বারি-১৪জাতের সরিষা জমিতে চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত ২বিঘা জমির সরিষা মাড়ায় শেষে ১০মন সরিষা পেয়েছেন। বাজারে সরিষা প্রতি মন বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ টাকা। খরচবাদে প্রতি বিঘায় ৮ হাজার টাকা আয় হবে বলে জানান তিনি।

তানোর কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে আলু চাষ করা হয়েছে ১৩ হাজার ২শত ১০ হেক্টর জমিতে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ইত্তেফাককে জানান- আগাম যারা আলু চাষ করেছেন তাদের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়া উপজেলায় সরিষা চাষে কৃষকরা লাভবান হবেন। যে সমস্ত চাষি ক্ষেতের রোগ বালাই এর ব্যাপারে আমাদের নিকট আসেন তাদেরকে সাধ্যমত পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করে থাকি।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন