শার্শা সীমান্তের বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ-তিনগুন লাভের আশা চাষীদের

  10-02-2018 06:53PM

পিএনএস, বেনাপোল : দেখতে সুন্দর খাইতে সুস্বাদু পুষ্টিগুনে ভরা ভেষজগুণে সমৃদ্ধ ডায়াবেটিস ঔষুধ খ্যাত ড্রাগন ফলের বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হয়েছে যশোরের শার্শা সীমান্তের সালতা পল্লীতে। বাজার মূল্য ভালো হওয়ায় এফল চাষে ঝুকছেন চাষীরা। ফসলি জমি কিংবা বাড়ির ছাদে টবে লাগানো যায় ড্রাগন গাছ। নতুন এ ফল ও গাছ দেখতে মাঠে আসছেন বিভিন্ন এলাকার দর্শনার্থীরা।

দর্শনার্থী শরিফল ইসলাম ও কাজরী খাতুন জানান ,তারা শুনেছেন ড্রাগন মানে একটির প্রানী। এখন মাঠে এসে দেখছেন ফলগাছ। দেখতে ও খাইতে খুবই সুস্বাদু। যার রয়েছে অনেক ঔষধিগুন। ফলে তারা দেখে ও শুনে খুশিমনে ফিরছেন বাড়ীতে। প্রতিদিন অনেকে আসছেন এ ফল দেখতে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন আলী।

রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই পরিচর্যা করে হয় ড্রাগন ফল চাষ। সিমেন্টের তৈরী পিলারের উপরে বাধা টায়ারে জড়িয়ে ওঠে ড্রাগন। ১৪ মাস পর শুরু হয় গাছে ফল আসা। ৩০/৩৫ দিনপর কাটা যায় পাকা ড্রাগনফল। ড্রাগন বাজারে বিক্রি হয় ৪০০/৪৫০ টাকায়। শার্শার সালতা ফুলসারায় রাশেদুল ইসলাম ও তার ভাই আল হুসাইন ৯বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেছেন ড্রাগন চাষ। ৫ বিঘা জমিতে ১২লাখ টাকা খরচে ৩৫ লাখ টাকা ড্রাগন বিক্রির আশা করেন আলহুসাইন। রাসেদুল ইসলাম বলেন, লাভবান চাষ ড্রাগন। দরকার সরকারি সহযোগিতা ও কৃষকদের প্রশিক্ষণ পরামর্শ বাড়ানোসহ ড্রাগন ফলের বাজার সম্প্রসারন করা। তাহলে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব হবে।

ভিয়েতনামের জাতীয় ফল ড্রাগন, শার্শায় বানিজ্যিক ভাবে শুরু হয়েছে এফল চাষ। নতুন এ ফল চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে অনেকেই। এলাকার কৃষকেরা জানান, সরকারি সহযোগিতা ফেলে তারাও করতে চান ড্রাগন চাষ।

উপ-সহকারী কৃষি অফিসার, সুকেন্দু মোড়ল বলেন,ড্রাগন চাষে কৃষি অফিস থেকে চাষীদের দিচ্ছেন সহযোগিতা ফলে এফল চাষে লাভবান হচ্ছে তারা বাড়ছে চাষ। এলাকার অনেক চাষী এ ফলচাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার বলেন, শরু হয়েছে ড্রাগন চাষ। প্রতি বিঘা জমিতে ১ থেকে ৩ লাখ টাকার উপরে লাভ করা সম্ভব। ড্রাগন চাষে নিয়মিত পর্যবেক্ষণসহ চাষীদেরকে প্রশিক্ষন উৎসাহ ও পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিভাগ। আগামীতে চাষীদের আরো সহযোগিতা ও প্রশিক্ষন বাড়ানো হবে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন