শেরপুরে টানা চারদিনের বৃষ্টিতে কর্মব্যস্ত আমন চাষিরা

  28-07-2018 10:33PM

পিএনএস, শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা : টানা চারদিনের বৃষ্টিতে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার আমন চাষিরা। জমি প্রস্তুত ও আমন চারা লাগানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। চাষিরা জানান, প্রকৃতি রুক্ষ মেজাজ ধারণ করেছে। মেঘ হলেও বৃষ্টির তেমন একটা দেখা মিলছেনা। আবার হঠাৎ বৃষ্টি ঝরলেও যেন কয়েক ফোটা পড়েই তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে কাঙখিত বৃষ্টির দেখা নেই। এরইমধ্যে বর্ষা মৌসুমের অর্ধেক চলে গেছে। কিন্তু বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানির অভাবে জমি প্রস্তুত ও আমন চারা লাগানো নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। অবশেষে শ্রাবণের ভারি বর্ষণ শুরু হলো। গেল মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। ফলে কৃষকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আমনের ক্ষেতেও পানি জমেছে। তাই জমি প্রস্তুত করে আমনের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

স্থানীয় কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ১৯হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরও বেশি জমিতে আমন চাষের প্রস্তুতি চলছে। তাই নানা প্রতিকূলতার মাঝেও মাঠে শ্যালো মেশিন বসিয়ে সেচের মাধ্যমে কৃষকরা প্রায় ৮হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের লাগানোর কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছেন বলে কৃষি অফিসের সূত্রটি জানায়।

গোলাম রব্বানী, সোহেল রানা, জাহিদুল ইসলামসহ একাধিক আমন চাষি জানান, আমন চাষের জন্য তারা বৃষ্টির ওপর নির্ভর করেন। টাকা ছাড়া এই বৃষ্টির পানি আমন আবাদের জন্য বড় সহায়ক। কিন্তু মৌসুম শুরু থেকেই তেমন বৃৃষ্টি হচ্ছিল না। এতে চাষিরা বিচলিত ছিলেন। চাষিরা আরও জানান, চারার বয়স বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু পানির অভাবে তারা জমি প্রস্তুত করতে পারছিলেন না। অনেক জায়গায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে সেচ দিয়ে কিছু চারা রোপণ করা হয়। তবে দরিদ্র চাষিরা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতেন আর বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতেন। তবে তাদের সেই অপেক্ষার দিন শেষ। বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় তারা এখন কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলার সাধুবাড়ি গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর এ সময় প্রচুর বৃষ্টিপাত হত। ওই বৃষ্টির পানি দিয়ে এলাকার চাষীরা আমন চাষ করতেন। কিন্তু এবছর শ্রাবণ মাসের শুরুর দিকে কাংখিত বৃষ্টি না হওয়ায় বাধ্য হয়েই জমিতে শ্যালোমেশিন বাসানো হয়েছে। এজন্য প্রতিবিঘাতে প্রায় ৮০০-৯০০ টাকা বাড়তি ব্যয় হবে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, পরিমিত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমন চাষ শুরু করেছে। এজন্য জমি প্রস্তুত করতে সেচ খরচ একটু বাড়বে। তবে গেল কয়েকদিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। কৃষকও বসে নেই। জমি প্রস্তুত করে আমন চারা লাগানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে এই কর্মকর্তা জানান।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন