লাভজনক হওয়ায় রাজশাহী অঞ্চলে স্ট্রবেরি চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে

  06-01-2015 08:29PM

পিএনএস (কামাল পাশা দোজা ) : সহজে আবাদযোগ্য এবং অধিক লাভজনক হওয়ায় রাজশাহী অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে স্ট্রবেরি চাষ ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন অংশে রসাল ফল স্ট্রবেরি খুবই জনপ্রিয়, দেশেরও এই ফলের আকর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষক পর্যায়ে স্ট্রবেরি চাষ এ অঞ্চলের কৃষিখাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
বাংলাদেশ স্ট্রবেরি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ড. একেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, আলু অথবা বেগুন আবাদের চেয়ে স্ট্রবেরি চাষ সহজ। প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বরের মধ্যে স্ট্রবেরি চারা রোপণ করতে হবে।
চারা রোপণের এক মাসের মধ্যে এতে ফুল ধরে এবং মার্চ পর্যন্ত এ থেকে ফল সংগ্রহ করা যায়।
‘প্রতিটি চারা ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম স্ট্রবেরি পাওয়া যায় এবং এক বিঘা জমিতে ৬ হাজার চারা রোপণ করা যায়’ উল্লেখ করে রফিকুল ইসলাম বলেন, কৃষক পর্যায়ে ১ কেজি স্ট্রবেরির দাম প্রায় ৬শ’ টাকা। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত স্ট্রবেরির স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজার রয়েছে এবং এতে কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হতে পারেন।
তিনি বলেন, অন্যান্য শস্যের চেয়ে আবাদ সহজ হওয়ায় বর্তমানে বিপুলসংখ্যক লোক বিশেষ করে বেকার যুবকরা জীবিকা নির্বাহে স্ট্রবেরি চাষের ওপর নির্ভরশীল।
বর্তমানে অনেক তরুণ দেশের বিভিন্ন মার্কেটে স্ট্রবেরি সরবরাহ করছেন। এসব স্ট্রবেরি আইসক্রীম, জ্যাম, জেলি, আচার, চকলেট ও বিস্কুট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
দেশে স্ট্রবেরি গবেষণার পথিকৃত প্রফেসর ড. মনজুর হোসেন জাত উদ্ভাবন, আবাদ সম্প্রসারণে অবদান রেখেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্ট্রবেরি বিশ্বের সেরা স্ট্রবেরির সমতুল্য।
তিনি বলেন, টিস্যুকালচার পদ্ধতিতে আমরা স্ট্রবেরির তিনটি জাত উদ্ভাবন করেছি। সকল জাত এ অঞ্চলের মাটি ও পরিবেশে উৎপাদন সম্ভব।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের প্রফেসর ড. মনজুর হোসেন বলেন, তিনি তার নিজস্ব হর্টিকালচার খামারে কয়েক বছরে এসব জাত উদ্ভাবন করেন।
নতুন জাতে স্ট্রবেরি থেকে আবাদের আড়াই মাসের মধ্যে স্ট্রবেরি সংগ্রহ করা যাবে এবং এক বিঘা জমিতে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে স্ট্রবেরি আবাদ করে কৃষকরা আয় করতে পারেন প্রায় দেড় লাখ টাকা।

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন