কচুয়ায় নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত ইরি ধান ॥ হতাশ কৃষক

  11-04-2019 08:44PM

পিএনএস, আফাজ উদ্দিন মানিক (চাঁদপুর) প্রতিনিধি : দিনে গরম-রাতে ঠা-া, কুয়াশাচ্ছান্ন, অতিবৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া ও অতিরিক্ত ইউরিয়া সার প্রয়োগের কারনে চাঁদপুরের কচুয়ায় ইরি ধান ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হয়েছে নেক ব্লাস্ট ও লিফ ব্লাস্ট রোগে। এবছর কচুয়ায় ১২ হাজার ৭শ ৫ হেক্টর জমিতে ইরি ধানের চাষ লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে এমন কোন ধানের মাঠ নেই যে মাঠে কোন না কোন জমির ধান নেক ব্লাস্ট ও লিফ ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়নি। এ রোগ দিনের পর দিন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এবছর ইরি ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাম্পার ফলনের কারনে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠলেও সপ্তাহ পূর্ব থেকে উপরোক্ত রোগ ছড়িয়ে পড়া শুরু হলে কৃষকের মুখের হাসি ম্লান হয়ে যায়। উপজেলার ৩৭টি কৃষি ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি উপ-সহকারিগণ মাঠে ময়দানে ছুটে গিয়ে কৃষকদেরকে উপরোক্ত রোগ হতে ধান রক্ষায় প্রয়োজনীয় (সঠিক) কীটনাশক ওষধ প্রয়োগের জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে বলে কৃষি বিভাগ দাবী করলেও অনেক ব্লকে কৃষি উপসহকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছেনা বলে কৃষকরা জানায়। ধানে বাদামি রং এর দাগ পড়ে যা নেক ব্লাস্ট রোগ বলে পরিচিত। নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর এক পর্যায়ে ধানের পাতা ঝলসে যাওয়া সহ ধান সাদা হয়ে চিটা হয়ে যায়। পাতা ঝলসে যাওয়া ও ধান চিটা হয়ে যাওয়া এ রোগকে কৃষি বিভাগের লোকজনরা লিফ ব্লাস্ট রোগ বলে দাবী করছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব জানান, যেসব কারনে নেক ব্লাস্ট ও রোগ হয় ওই একই কারনে লিফ ব্লাস্ট রোগেরও সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মতে ধানের জমিতে রোগ হোক বা না হোক শীষ বের হওয়ার আগেই প্রতি ৫ শতাংশ জমিতে ট্রুপার বা নাটিভো (৭৫ ডব্লিউজি) ৮ গ্রাম অথবা (ট্রাইসাইক্লাজল) গ্রুপের ফিলিয়া ১০ লিটার পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে ৫ থেকে ৭ দিন অন্তর দু’বার প্রয়োগ করতে হবে।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন