তানোরে ব্লাস্ট রোগে কৃষকের স্বপ্নভঙ্গ

  20-04-2019 04:59PM

পিএনএস, তানোর (রাজশাহী) সংবাদদাতা : আর কিছুদিন পরই কৃষক তার কষ্টার্জিত পাকা ধান ঘরে তুলবে। সবেমাত্র সোনালী শিষ উঁকি দিচ্ছে। কৃষক স্বপ্ন দেখছেন গতবারের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতিগ্রস্থ আবাদের ক্ষতি পুসিয়ে নিয়ে এবার ভালো ফলন ঘরে তুলবেন। কিন্তু বোরো ধানক্ষেত সাদা ও হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। বেশ কিছু এলাকায় এই দৃশ্য তানোর উপজেলার কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার কিছু স্থানে ধানক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। আগাম কিছু ধান চাষ ও বেশীর ভাগ আলুর জমিতে ধান চাষ করার ফলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা প্রতিনিয়নত ক্যাম্পপেইন এই রোগ সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করছি। যাতে তা দ্রুত পাশের ক্ষেতে কিংবা অন্য একালায় ছড়িয়ে না পড়ে। এ রোগ প্রতিরোধে টুপারনামক কীটনাশক ওষুধ পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারের বোরো মৌসুমে তানোরে ৮ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বড় অংশই জিরা, ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ জাতের ধান। ফলন ভালো হওয়ায় এবং কিছুটা তাড়াতাড়ি ফলন পাওয়ায় এখানকার কৃষকেরা এই ধানের আবাদ বেশি করে থাকেন।

বৃহস্পতিবার কামারগাঁ ইউনিয়নের পারিশো মিরাপুর গ্রামে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মাঠে বোরো ধানের শিষে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পারিশো মিরাপুর এলাকার অধিকাংশ মাঠে এ রোগের কারণে ধানের পুরো শিষ মরে চিটা হয়ে যাচ্ছে। ধান পাকার শেষ সময়ে হঠাৎ করে এই রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

কথা হয় পারিশো এলাকার কৃষক রিগান মন্ডলের সঙ্গে। এবার তিনি এগারো বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করেন। কিন্তু শেষ সময়ে এসে দেখা যায় ধানের শিষ মরে সাদা হয়ে যাচ্ছে। পুরো শিষ মরে চিটা হয়ে যাওয়ায় ধান ঘরে তোলা নিয়ে সংশয় রয়েছে তার।

এ ছাড়া ওই গ্রামের রবিউল মন্ডলের ১৭ বিঘা, রেজাউল মন্ডলের ৭ বিঘা, মুকুল মন্ডলের ৫ বিঘাসহ অনেকের কয়েক একর ফসলের মাঠের ধানে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন