আবারও নিত্যপণ্যের বাজার চড়া

  23-06-2018 03:32AM


পিএনএস ডেস্ক: রাজধানীতে নিত্যপণ্যের বাজার আবারও চড়া। বেড়েছে সব ধরনের শাক-সবজি, মাছ, মুরগীর দাম। পণ্যভেদে প্রতিটির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে নিত্যপণ্য কম থাকায় বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে তাদের। এর প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।

এছাড়া, বাড়তি দামে পণ্য কেনায় চাপা ক্ষোভ দেখা যায় ভোক্তাদের মধ্যে। রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে এসব বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারে করলা প্রতিকেজি ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখি ৬০, পটল ৫০, গাজর ১২০, শসা ৫০, ঢেড়স ৫০, পেঁপে ৪৫, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৫০ টাকা, জালি কুমড়ার প্রতি পিস ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত দু’দিন আগেও এসব সবজি ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কম দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

শান্তিনগর বাজারের সবজি বিক্রেতা জাহিদ হোসেন বলেন, এখন পাইকারি বাজারে সবজি আসছে কম। সেখানে সবজির কম থাকায় দাম বেশি নেওয়া হয়। আমরা বেশি দামে কিনে, বেশি দামে বিক্রি করছি। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের কাছ থেকে দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, আশা করা যায়, দু’এক দিনের মধ্যেই দাম কমবে। তার মতে, এখনও ঢাকাতে সব মানুষ আসেনি। এ জন্য বাজারে মালের পরিমাণ কম। ঢাকায় মানুষের উপস্থিতি বাড়লে পণ্যও আসবে অনেক। তখন দাম কমবে।

সালাউদ্দিন নামে এক ভোক্তা বলেন, গতকাল করলা ৫০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। আজ তা বেড়ে হয়ে গেছে ৬০ টাকায়। একদিনের ব্যবধানে দাম বাড়ার কথা না। তবে বাজারের সব ব্যবসায়ীদের জোট থাকায় ভোক্তারা অসহায়। তাদের বাড়তি দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে।

মালিবাগ ও খিলগাঁও বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছ ও মুরগীর দাম বেশ চড়া। এখানে বয়লার প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, লেয়ার (লাল) ২২০ টাকা, লেয়ার (সাদা) ২০০ টাকায়, পাকিস্তানি মুরগী ৫০০ গ্রাম সাইজের হালি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা যায় ৫০০ টাকা কেজি দরে আর খাসি বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়।

শান্তিনগর, খিলগাঁও, সেগুনবাগিচা বাজারে মাছভেদে কেজিতে ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এসব বাজারে সব ধরনের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়, ইলিশ ৫০০ গ্রাম ওজনের জোড়া ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, ৭০০ গ্রাম ওজনের জোড়া ১৮০০ টাকা, শিং (ছোট) ৬০০ টাকা, বড় ১ হাজার টাকা, মাগুর (দেশি) ৮০০ টাকা, পাবদা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। অন্যদিকে ডিম হালিপ্রতি ২ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি করতে দেখা যায়।

এছাড়া, ইন্ডিয়ান চাল কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারে ইন্ডিয়ান নাজির বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৬২ টাকা, মিনিকেট ৬০ টাকা, স্বর্না ৫০ টাকা। দেশি নাজির ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, মিনিকেট ৬০ থেকে ৬২ টাকা, আটাশ ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে মসলা, ডাল ও তেলের বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন