বেনাপোলে মাদকসহ আটক ৪

  06-01-2018 08:30PM

পিএনএস, বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের বেনাপোল ছোটআঁচড়া মোড়স্থ বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পিছন থেকে ১৪টি হাত বোমা, ৪টি রামদা ও ৬টি লোহার রডসহ আওয়ামী লীগের তিন কর্মীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। অপরদিকে বেনাপোল সাদীপুর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ১০ বোতল বিদেশী মদ ও দুই কেজি গাঁজাসহ মেহেদী হাসান (৩৩) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। আটক মেহেদী বেনাপোলের সীমান্তবর্তী সাদীপুর গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে।

শনিবার দুপুর ২টায় আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের পিছনে মেহগনি বাগানে অভিযান চালিয়ে এসব বিস্ফোরক দ্রব ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার হয়। আটকরা হলেন, বেনাপোল পোর্ট থানার ভবারবেড় গ্রামের শাহাজানের ছেলে মধু (২৬), গোলম খবিরের ছেলে এরশাদ (২৬) ও নারায়নপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে রনি (২৫)।

বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, তাদের কাছে গোপন খবর আসে নাশকতামূলক কর্মকান্ডের উদ্দেশ্যে বেনাপোল আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশে ধারালো অস্ত্র ও বোমা নিয়ে দূর্বৃত্তরা অবস্থান করছে। পরে তারা অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে হাতবোমা ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। এসময় বোমার পাহারাদার তিন জনকে আটক করা হয় বলে দাবি বিজিবি‘র ওই কর্মকর্তার।

আটক আসামীদের মধ্যে রনি জানান,আমি যশোর এম,এম, কলেজের মাষ্টার্স ও বিসিএস পরীক্ষার অংশগ্রহন করেছি। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমি ও আটক অন্য দুই জন আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে বসে আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে দেখতে পাই, বিজিবি সদস্যরা আমাদের বসার স্থান থেকে আরও ৩০০ গজ সামনে মেহগনি বাগানে অভিযান চালাচ্ছে। তারা যে স্থানে এই বোমা, রামদা, পেয়েছে আমরা কিছু দেখতে পায়নি। এ ব্যাপারে আমরাও কোন কিছু জানি না। বিজিবি আমাদেরকে বলেন, দেশের স্বার্থে আপনাদেরকে ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষী দিতে হবে একথা বলে আমাদের ৩ জনকে তাদের পিকআপে করে ক্যাম্পে এনে এ মামলার আসামী বানিয়ে হাতে হ্যান্ডক্যাপ লাগান।

এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান জানান, দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এটা আওয়ামীলীগের অপর একটি পক্ষের ষড়যন্ত্র।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য ওহিদুল ইসলাম ওহিদ জানান, রাজনৈতিক ভাবে হয়রানি করার জন্য এটি কারো চক্রান্ত। তবে স্বাক্ষির নামে তাদের কর্মীদের ডেকে নিয়ে আসামী বানানোর নিন্দাও জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, কয়েক দিন যাবত লক্ষ্য করা যাচ্ছে সীমান্ত অঞ্চলে পুলিশের কাজ এখন বিজিবি করছে। বাড়ি থেকে ধরে এনে মাদক দ্রব্য দিয়ে চালান দেওয়া হচ্ছে নিরীহ মানুষদের। এটাও তার একটি অংশ।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন