মুঠোফোনের মায়াজালে!

  17-01-2018 06:22PM

পিএনএস ডেস্ক : মুঠোফোনের মায়া ছাড়তে না পেরে ধরা খেলেন চার ছিনতাইকারী। ছিনতাইয়ের স্থলে ফেলে যাওয়া মুঠোফোন ফেরত নিতে এসে পুলিশের জালে আটকে যান তাঁরা। দুই মাছ বিক্রেতার ৬০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অপরাধে ওই চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে পাবনার ঈশ্বরদীতে।

গতকাল রাত ১১টায় শহরের রেলগেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ওই চার যুবককে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁরা হলেন পাবনা শহরের গোলাম রব্বানীর ছেলে গোলাম কিবরিয়া (৩৩), আসাদুল ইসলামের ছেলে হাসানুল ইসলাম (৩৫), আশরাফুল ইসলামের ছেলে ফয়সাল হোসেন (২০) এবং কামাল আহমেদের ছেলে সাব্বির হোসেন (২৫)। তাঁদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি ব্যক্তিগত গাড়ি, দুটি ডেগার (বড় চাকু) ও সাত হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া দুই মাছ বিক্রেতা হলেন ঈশ্বরদী শহরের ফতে মোহাম্মদপুর প্রামাণিকপাড়ার আবুল প্রামাণিক ও সাঁড়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া গ্রামের আবু হানিফ।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দীন বলেন, গতকাল আবুল প্রামাণিক ও আবু হানিফ দাশুড়িয়া বাজারে মাছ বিক্রি করে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন। পথে শহরের অরণকোলা সড়কে ছিনতাইকারীরা চাকুর ভয় দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে এক ছিনতাইকারীর মুঠোফোন মাটিতে পড়ে যায়। ছিনতাইকারীরা চলে গেলে মাছ বিক্রেতারা থানায় এসে বিষয়টি জানান এবং মুঠোফোনটি জমা দেন। ঘণ্টাখানেক পর ওই মুঠোফোনে ফোন আসে। থানা-পুলিশ পরিচয় গোপন রেখে ফোনটি ফেরত দিতে সম্মত হয়। ওই ছিনতাইকারীকে বাস টার্মিনালের কাছে এসে ফোন নিয়ে যেতে বলা হয়।

ওসি বলেন, রাত ১১টার দিকে একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে চার যুবক বাস টার্মিনালে এসে মুঠোফোনে ফোন দেন। আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নেওয়া সাদাপোশাকে থাকা পুলিশ তাঁদের তাৎক্ষণিক আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রাতেই দুই মাছ বিক্রেতার সামনে হাজির করা হলে ‘ছিনতাইকারী’ হিসেবে তাঁরা শনাক্ত করেন। ছিনতাইয়ের ঘটনায় বাদী হয়ে দুই মাছ বিক্রেতা রাতে মামলা করেছেন বলে জানান ওসি।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক বলেন, গ্রেপ্তার চারজনের নামে বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, ডাকাতিসহ দ্রুত বিচার আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা শতাধিক ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছেন পুলিশের কাছে।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন