পিএনএস ডেস্ক: রাজধানীর হজরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাসহ দুই যাত্রী গ্রেফতার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। গ্রেফতার দুই যাত্রী শরীরে (কোমরে) বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায় প্রায় ২৮ লাখ টাকার বিদেশী মুদ্রা মালয়েশিয়া পাচারের চেষ্টা করছিল।
তারা হলেন আরিফুল ইসলাম, পাসপোর্ট নং বিএম০০০৭৪৫৯, বাড়ি: পাইকপাড়া, মিরপুর, ঢাকা এবং মো. শামীম ঢালী, পাসপোর্ট নং: বিএম০১২৯১৭১, বাড়ি: শুক্রাবাদ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। তারা ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে ওডি১৬৫ ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান ব্রেকিংনিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, শাহজালাল থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার দুই যাত্রীর কাছ থেকে শুল্ক গোয়েন্দার সদস্যার বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) মধ্যরাতে বৈদেশিক মুদ্রা গ্রেফতার করেছে।
তিনি জানান, এই দুই যাত্রী এ বছর জানুয়ারিতে একবার ঢাকা-মালয়েশিয়া যাতায়াত করেছেন। ২০১৭ সালে আরিফুল ইসলাম সাত বার এবং শামীম ১০ বার বিদেশ গমন করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদেরকে লাগেজ ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচয় দেন। তারা একে অপরের সহযোগী বলেও স্বীকার করেন।
শুল্ক গোয়েন্দা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের নজরদারিতে রাখে। তারা বহির্গমনকালে চেকইন রো-সি তে শুল্ক গোয়েন্দা তাদেরকে চ্যালেন্জ করে। প্রাথমিকভাবে তারা মুদ্রা বহনের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তবে সুনির্দিষ্ট গোপন সংবাদ এবং তাদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হওয়ায় তাদেরকে শাহজালালের কাস্টমস হলে নিয়ে এসে তল্লাশি করে আরিফুল ইসলামের কাছ থেকে ৬০ হাজার মূল্যমানের সৌদি রিয়াল ও ৪২১ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত এবং আরেক জনের কাছ থেকে ৬৮ হাজার ৫০০ মূল্যমানের সৌদি রিয়াল ও ১৩৫ মূল্যমানের মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত উদ্ধার করা হয়।
ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ এবং অনেক নাটকীয়তার পর মধ্যরাতে (রাত ১ টায়) তাদের কাছ থেকে এসব মুদ্রা উদঘাটিত হয়।
বাংলাদেশি টাকায় এসব মুদ্রার পরিমাণ ২৭ লাখ ৮৭ হাজার ৬৩৯ টাকা। এসব মুদ্রা তাদের শরীরের ভেতর (কোমরে) বিশেষভাবে লুকায়িত ছিল।
এই মুদ্রা তারা চোরাচালান করার চেষ্টা করছিলেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়। ঘোষণা ছাড়া এবং লুকানোর কারণে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ও শুল্ক আইন ভঙ্গ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আটক যাত্রী দুইজন চোরাচালানী পণ্য কিনতে এই মুদ্রা অবৈধভাবে বহন করছিলেন।
এই ঘটনায় আটক যাত্রী দুজনকে শুল্ক আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসাথে, অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আরো অনুসন্ধান ও তদন্তের মাধ্যমে বিস্তারিত উদঘাটন করা হবে বলে জানান ড. মঈনুল।
পিএনএস/আলআমীন
২ যাত্রীর কোমরে ২৮ লাখ টাকার বিদেশী মুদ্রা
19-01-2018 01:17PM