গাইবান্ধায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

  11-02-2018 06:21PM

পিএনএস,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সামাদ আজাদের বিরুদ্ধে ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৫শ’ টাকা দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ ও সদস্যদের অনাস্থা প্রস্তাব দাখিলের ১১ দিন পরও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এ ব্যাপারে রোববার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও পরে স্টেশন রোডের কাচারী বাজারে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে ওই ইউনিয়ন পষিদের সদস্যরা। তারা এব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সৈয়দ মোস্তফা জামান মিন্টু, আশরাফুল ইসলাম, নুর আক্তার বানু, আলো রানী, আনোয়ার হোসেন রানা, মিজানুর রহমান মিজান, মোছা. পারুল, মোস্তাক আহমেদ, সোহেল রানা ও মো. রাজু মিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছর এবং ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় দেখিয়ে উক্ত অর্থ আত্মসাৎ করেন ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সামাদ আজাদ। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইউপি ভবনের ভাঙ্গা দরজা-জানালা মেরামত ও ভবন রংকরণ এবং ইউনিয়নকে বাল্য বিবাহমুক্ত ঘোষণার বিভিন্ন কার্যক্রমের পৃথক দুইটি প্রকল্প গ্রহন করা হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এছাড়া একই খাতে দরজা-জানালা, ল্যাট্রিন ও বাথরুম মেরামত, বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং ও লাইটিং, ক্রোকারিজ সামগ্রী ক্রয়, ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে টেবিল, চেয়ার ও আনুসঙ্গিক সরঞ্জাম সরবরাহ এবং ইউনিয়নের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে উঁচু-নিচু বেঞ্চ সরবরাহের জন্য পৃথক তিনটি প্রকল্প হাতে নেয়া হলেও তার কাজ করা হয়নি। তদুপরি ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতল ভবনের ল্যাট্রিন সংষ্কার, বিভিন্ন কক্ষের বৈদ্যুতিক পাখা সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় ওয়্যারিং, ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর ও পরিষদ সীমানার বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষরোপণ, রথবাজারের শেড ঘরের মেঝে মেরামত, হাঁটার গলি পাকাকরণ ও নলকূপ স্থাপন এবং আন্তঃজেলা ফেরি ও খেয়াঘাট নতুন ব্রীজ সংলগ্ন ঘাটের ছাউনি সংস্কার, ছাউনিতে বসার ব্যবস্থাকরণ এবং ছাউনি সংলগ্ন রাস্তা সংস্কারের বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও তার কাজ না করেই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়।

এছাড়াও ইট ভাটার কর আদায় করে ইউপি তহবিলে জমা না দেয়া, ভিজিডি কার্ড, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসূচী কার্ড, বয়স্ক বিধবা প্রতিবন্ধী কার্ড প্রদানে অর্থ আদায়, গ্রাম আদালত অবমাননা ও বিচারের নামে অবৈধভাবে আটকাদেশ দিয়ে অর্থ আদায়, পাকা বাড়ির নক্সা অনুমোদনের নামে অর্থ আদায় করে তা আত্মসাৎ করে চেয়ারম্যান শেখ সামাদ আজাদ। এ সব অভিযোগে ওই ইউনিয়নের ১০ জন মেম্বর সাক্ষর করে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৯ ধারা মোতাবেক গত ৩১ জানুয়ারি অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, রংপুর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগটি দাখিল করা হয়। এছাড়া ইউপি সদস্যরা গত ৩১ জানুয়ারি বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে উক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে পৃথক একটি অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন