ইউনিলিভারের ডিস্টিটিবিউটর এসমা লিমিটেডের অফিসে ভোল্ট ভেঙে প্রায় ৭৩ লাখ টাকা চুরি

  18-03-2018 08:00PM

পিএনএস : ইউনিলিভারের ডিস্ট্রিবিউটর এসমা লিমিটেডের খিলগাঁও চৌধুরী পাড়ার অফিসের ভোল্ট ভেঙে প্রায় ৭৩ লাখ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় রাজধানীর রামপুরা থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশের একাধিক টিম।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা। গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৬টা মধ্যে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

ঘটনার খবর পেয়ে মতিঝিল জোনের এডিসি মো. সাইফুর, রামপুরা ও খিলগাঁও জোনের এসি নাদিয়া জুঁই, রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, রামপুরা থানার ওসি (তদন্ত) এবং সিআইডি পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এ ঘটনায় রামপুরা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জানা গেছে, খিলগাঁও চৌধুরী পাড়ার ৪২৬/বি নং বাড়ির মালিক মো. জসিম উদ্দিন। ৪ তলা এ বাড়ির দ্বিতীয় তলা ছাড়া পুরোটাই ভাড়া নেয় ইউনিলিভার ডিস্ট্রিবিউটর এসমা লিমিটেড।

গত শনিবার রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত অফিসের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে কোম্পানির কর্মচারী ও কর্মকর্তারা সবগুলো ফ্লোরে তালা দিয়ে চলে যান। কোম্পানির দারোয়ান সেলিম বাড়ির নীচ তলায় থাকেন এবং বাড়ির মালিকের কেয়ারটেকার জসিম উদ্দিন ঐ ভবনের ৫ম তলায় একটি কক্ষে থাকেন। বাড়ির ভেতর ৩তলা পর্যন্ত সিসি ক্যামেরা থাকলে ৪র্থ তলায় কোনো ক্যামেরা ছিলো না। চৌধুরী পাড়ার মেইন রাস্তার পাশেই এ বাড়ির সামনে সর্বদা লোকজন চলা ফেরা করে। তাছাড়া প্রতিদিন রাত ১২টা পর্যন্ত অফিসের কাজকর্ম চলে। প্রায় শতাধিক লোক ইউনিলিভারের মার্কেটিংয়ে কাজ করেন।

গতকাল রোববার সকাল ৮টার দিকে অফিসের কর্মচারী ও কর্মকর্তা আসা শুরু করেন। প্রথমে অফিসে আসেন হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা। তিনি এসে ৪ তলা তার কক্ষে প্রবেশের আগে মেইন দরজা ভেতর থেকে আটকানো দেখতে পান। প্রথমে তিনি বুঝতে পারেনি। তিনি ভাবছেন ভেতর থেকে দরজাটি লক হয়ে গেছে। তিনি বাহির থেকে লোকজন এনে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করা মাত্র সবগুলো দরজা ভাঙা ও আসবাবপত্র ছড়ানো ছিটানো। ভবনের ৪তলায় উত্তর পাশের জানালার গ্রীল কাটা। এরপর ভোল্ট রুমে গিয়ে দেখা যায় ভোল্ট কেটে ভেতরে থাকা গচ্ছিত টাকা সব নিয়ে গেছে দুর্বর্ত্তরা।

এসমা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ৩ দিনের কালেকশনের টাকা ঐ ভোল্টে রাখা ছিল। টাকার পরিমাণ ৭২ লাখ ৮০ হাজার ৮শ’ ৪৭ টাকা। এ ঘটনার পর এসমা কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।

মতিঝিল জোনের এডিসি মো. সাইফুর জানান, এটা পেশাদার চোরের কাজ। তাছাড়া কোম্পানির লোকজন বা বাড়ির দারোয়ান জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুতই এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে সিআইডি পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা জানান, এমন ভোল্ট কাটা প্রশিক্ষিত পেশাদার ছাড়া সম্ভব নয়। যারা এই কাজটি করেছে পেশাদার এবং অভিজ্ঞ। এত অল্প সময়ে কিভাবে এমন মোটা ভোল্ট কাটা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন খোদ ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা।


পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন