পিএনএস ডেস্ক : পোশাক-আশাক কিংবা পরিচয় সবখানেই সভ্রান্ত ও অভিজাত। কিন্তু, আসলে তিনি একজন নারী চোর। রাজধানীতে ধনীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে চোখের পলকে লোকজনের ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড চুরি করেন এই নারী। তবে, চোরের দশদিন গৃহস্থের একদিন!
সাবেক এক বিচারপতির স্ত্রীর ক্রেডিট কার্ড চুরির পরই পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ওই নারীর নামে বিভিন্ন থানায় ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড চুরির মামলাই আছে ২০টির বেশি।
পুলিশ বলছে, মাদকের টাকা জোগাড় করতে গিয়েই অন্ধকার এই পথ বেছেন তিনি।
ঢাকার অভিজাত পাড়ায় জাঁকজমক আয়োজন প্রায় প্রতিদিনের। যাতে অংশ নেন, সমাজের গণ্যমান্য ও উচ্চবিত্ত ব্যক্তিরা। তবে, এই পরিবেশেও কেউ-কেউ পাতেন অভিনব চুরির ফাঁদ।
৩৭ বছর বয়সী জোবায়দা সুলতানা। তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত উপ-সচিব। দেখতে সজ্জন হলেও, পেশা চুরি। ধনীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সুযোগ বুঝে কৌশলে ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড হাতিয়ে নেয়ায় তার কাজ।
উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের অনুসন্ধান বলছে, সম্প্রতি রাজধানীর কেএফসির একটি শাখা থেকে, সাবেক বিচারপতির এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রীর ক্রেডিট কার্ড চুরি করেন জোবায়দা। ওই কার্ড দিয়ে একটি শপিং সেন্টার থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার কেনাকাটা করেন। গত ১২ মার্চ গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে, তা স্বীকারও করেন এই নারী।
পুলিশ জানায়, এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড চুরি করেছেন জোবায়দা। গেলো ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর উত্তরার জমজম টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোনের দোকানে, বেশ কয়েকটি ক্রেটিড কার্ড নিয়ে কেনাকাটা করতে গেলে, ধরা পড়েন সিসি ক্যামেরায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে-কাজ না করায়, পরপর পাঁচটি কার্ড দেন ওই নারী।
পুলিশের অনুসন্ধানে দেখা যায়, জোবায়দার বিরুদ্ধে ২০টিরও বেশি ক্রেডিট কার্ড চুরির মামলা আছে, রাজধানীর বিভিন্ন থানায়।
গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, স্বামীর হাত ধরে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন তিনি। বিয়ে বিচ্ছেদের পর মাদকের টাকা জোগাড় করতেই বেছে নেন চুরির পথ। উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের দায়ের করা মামলায় বর্তমানে তিনটি মামলায় জেল হাজতে আছেন জোবায়দা।
পিএনএস/এএ
আসুন শুনি এক নারী চোরের গল্প
14-07-2018 12:18PM