জাবালে নূরের সেই ‘ঘাতক’ বাসচালক এখনো পলাতক

  31-07-2018 11:13PM

পিএনএস ডেস্ক :বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিয়াদ আহমেদ।

প্রতিবেদনে তিনি জানিয়েছেন, ‘জাবালে নূর’ পরিবহনের তিনটি বাসসহ আরও কয়েকটি অজ্ঞাতনামা বাসের চালকরা হেলপারদের প্রত্যক্ষ উসকানিতে বেপরোয়া ও দ্রুত গতিতে বাস চালিয়ে ছিল। বাসে ওঠার জন্য হোটেল রেডিসনের বিপরীতে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখে রাস্তার পাশে অপেক্ষা করছিল শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এর মধ্যে জাবালে নূরের (ঢাকা মেট্রো ১১-৯২৯৭) অজ্ঞাতনামা চালক ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর বাস উঠিয়ে দেয়। এতে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল করিম রাজিব ও দিয়া খানম মিম নিহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরও কয়েকজন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রতিযোগিতায় লিপ্ত বাসগুলোর মধ্যে চালক-সহযোগী মিলে চারজনের নাম পাওয়া গেছে। র‌্যাবের সহযোগিতায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু জাবালে নূর পরিবহনের মূল ঘাতক বাসের চালকসহ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত বাসগুলোর আরও চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে।

ইতোমধ্যে দুটি বাস জব্দ করা হয়েছে। মূল পলাতক আসামি চালককে গ্রেফতার ও মামলার তদন্তের স্বার্থে চারজনকে ১০ দিনের পুলিশি রিমান্ড প্রয়োজন। আসামিরা জামিন গেলে চিরতরে পলাতক হবে। পলাতকদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে না। পাশাপাশি বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। বিধায় আসামিদের জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন।

মামলার সিডি না থাকায় ঢাকা মহানগর হাকিম এইচএম তোয়াহা তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

গ্রেফতার চারজন হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের চালক সোহাগ আলী ও জুবায়ের এবং হেলপার এনায়েত হোসেন ও রিপন।

প্রসঙ্গত, ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিল। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে একই পরিবহনের আরেকটি দ্রুতগতি সম্পন্ন বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিমিষেই উঠে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর। চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুজন। এছাড়া আহত হন আরও ১৫-২০ শিক্ষার্থী।

ওইদিন রাত ও পরদিন সকালে রাজধানী ঢাকা এবং বরগুনায় অভিযান চালিয়ে এই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার ঘটনাস্থলে জাবালে নূর পরিবহনের তিনটি বাস ছিল। এর মধ্যে যে বাসটির চাকায় পিষ্ট হয়ে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয় সেই চালককে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। দুর্ঘটনার দিন থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন