সাংবাদিক আসিফের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের

  02-08-2018 04:18AM

পিএনএস ডেস্ক : অবশেষে ব্যক্তি আক্রোশের শিকার হয়েছেন দৈনিক ভোরের পাতার স্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক যুবকন্ঠ’র বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক ইসহাক আসিফ। আসামী ছাড়াতে তিনি সুপারিশ করায় মামলার হুমকি দিয়ে তার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম। ঘটনার সাথে আসিফের কোনো সংশ্লিষ্ট নেই বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে জানা যায়, সাংবাদিক ইসহাক আফিসের একজন স্বজনকে গত ১৫ জুলাই শেরপুর থানায় পুলিশ গ্রেফতার করে। এর পেক্ষিতে ঢাকা থেকে সাংবাদিক আসিফ তার স্বজনকে ছাড়াতে থানার ওসির কাছে সুপারিশ করেন। এক পর্যায়ে ওসি ক্ষ্যাপে যান। এমনকি মামলার দিন সকালে সাংবাদিক ইসহাক আসিফ’কে এই মামলা ঢুকিয়ে দেয়ার একটি হুমকি দেন ওসি রফিক। যা সাংবাদিক আসিফ ও ওসি রফিকুল ইসলামের মোবাইলের কথাকপনে রেকর্ডে পাওয়া যায়। এঘটনার সূত্র ধরেই সাংবাদিক আফিসকে ২ নম্বর আসামি করে বাদীপক্ষকে দিয়ে মামলা করান ওসি রফিকুল ইসলাম।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলাকারি বগুড়ার শেরপুর থানাধীন শেরুয়া নামা পাড়া’র রাজমিস্ত্রী মো.কালু শেখের মেয়েে মোছা. সুমা খাতুন মাদরাসায় থেকে বাড়ি ফেরার পথে আসামি ১ নম্বর মো. মুনসের ওরফে মুনসুর, পিতা মৃত মোসলেম, বেড়ের বাড়ী, শেরপুর-বগুড়া। শেরুয়া ফরেস্ট বাগানের গেইট এর নিকট পৌছালে ২ নম্বর সাংবাদিক আসামি ইসাহাক ওরফে আসিফ, পিতা মুকদুম, সাং বেড়ের বাড়ী, থানা শেরপুর-জেলা বগুড়া’র প্রচোরনায় আসামি মুনসের ওরফে মুনসুর আমার মেয়ে সুমা খাতুনকে ফুসলাইয়া অসত উদ্দেশ্য অপহরণ করিয়া অজ্ঞাত নামা সিএনজি যোগে চান্দাইকোনা অভিমুখে চলিয়া যায় মর্মে মামলার বাদী মো. কালু শেখ শেরপুর থানার এজাহারে উল্লেখ করেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে প্রতিবেদককে বাদী মো. কালু শেখ জানায়, সাংবাদিক ইসহাক আসিফকে আমি চিনিই না। ওর নাম দিবো কেন। তিনি আরো বলেন, ওই (ইসহাক আসিফ) লোকের নামে আমি মামলা করি নাই। আমি হলো মুর্খ মানুষ, চখে দেখি না। তাহলে ওসি সাহেব কে জিগান। ওসি সাহেবের সাথে বলে ওই (আসিফ) বেয়াদবি করছে। তাই শুনলাম। হয়তো ওসি স্যার তার নাম দিতে পারে। পুরো কথাপকথন রেকর্ড আছে এ প্রতিবেদকের কাছে।

বগুড়া-৫ শেরপুর-ধুনট নির্বচানী এলকার সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের পিএস মিলন জানায়, ওসি রফিকুল ইসলাম নিরীহ মানুষদের ধরে নিয়ে আসামি করে থানায় আটকে রাখে। পরে ২০-৩০ হাজার টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। ছাড়া শেরপুর থানায় যোগদানের সময় ¯’নীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মাদক ও জুয়া মুক্ত উপজেলা গড়ার ঘোষণা করলেও টাকার বিনিময়ে আসামি ছেড়ে দেন ওসি রফিকুল ইসলাম।

গত কয়েকদিন আগে শেরপুর থানা থেকে ৪ জুয়াড়িকে অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে নিয়ে যান স্বজনরা। আটককৃতরা হলো- বিনোদপুর গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য মৃত শমসের আলীর ছেলে আব্দুল আউয়াল (৫৫), ওয়ার্ড আওয়া লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাই মো: শাহজাহান আলীর ছেলে আব্দুল ওহাব (২৫), আজিম উদ্দিনের ছেলে তনু (১৮) ও সাদেক আলীর ছেলে বশির উদ্দিন (২০)।

অনুসন্ধানে জানায়, এই ওসির বিরুদ্ধে যাত্রীবাড়ী নিরার্হী মানুষকে হয়রানি,২০১৪ সালে উত্তরা পশ্চিম থাসায় সাংবাদিককে ছাদ থেকে ফেলে মেরে ফেলা ও ২০১৬ সালে লালমনিরহাট সদর থানায় কনেস্টবলকে পিটিয়ে আহত করার মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে ২০১৬ সালে ২৩ নভেম্বর ওসি রফিকুল ইসলামের নানা অপকর্মের একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন