কুড়িগ্রামে আরও ৩ জেএমবি সদস্য গ্রেপ্তার

  04-08-2018 09:47PM

পিএনএস ডেস্ক : কুড়িগ্রাম থেকে বিদেশি পিস্তুল ও বিস্ফোরক দ্রব্যসহ জেএমবির সদস্য ও জেলা ইছাবার প্রধানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে কুড়িগ্রামের ঢুসমারা থানার দিয়ারচর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতররা হলেন, কুড়িগ্রামের ঢুসমারা থানার দিয়ারচর কৌনাইছাপাড়া গ্রামের জেএমবির কুড়িগ্রাম জেলার ইছাবা (সামরিক) প্রধান তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তোতা মিয়া (৩০), একই এলাকার জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ((৩০) এবং একই এলাকার জেএমবি সদস্য আব্দুল হামিদ (৬০)।

আজ শনিবার বেলা ১১টায় বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁঞা তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২৯ জুলাই রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার থেকে গ্রেপ্তারকৃত চার জেএমবির সদস্যর স্বীক্তারোক্তিতে প্রাপ্ত তথ্যে বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশ ও পুলিশ হেড কোয়াটার্সেরইনটেলিজেন্স শাখা যৌথভাবে কুড়িগ্রামের ঢুসমারা থানার দিয়ারচর এলাকায় গতকাল দিবাগত রাত দেড়টায় অভিযান চালায়। এ সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি ৭.৬৫ পিস্তুল, চারটি গুলি, দুটি ম্যাগজিন, এক বোতল সালফিউরিক এসিড, দুটি কৌটায় এক কেজি বিস্ফোরক পাউডার উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের অভিযানে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার দাওয়াহ শাখার প্রধান ফুয়াদসহ পাঁচজন জেএমবি সদস্য পালিয়ে যায়। পলাতকরা হলেন, দাওয়াহ প্রধান ফুয়াদ ওরফে নিয়াজ (৩২), ইছাবা (সামরিক) সদস্য মো. মেরাজ, ইছাবা সদস্য তোহা ওরফে খয়রুল, ইছাবা সদস্য কামরুল ও ইছাবা সদস্য আমিন। পলাতকদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় হাজির করে বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ফিরোজ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম, আবদুল জলিল, মকবুল হোসেন, সনাতন চক্রবর্তী, গোয়েন্দা পুলিশের ওসি নুরে এ আলম সিদ্দিকীসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন