পিএনএস ডেস্ক : ক্লাস সিক্স থাকা অবস্থায় মাহবুবের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে একাধিকবার আমার পরিবারকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি এটা মেনে নেয়ার জন্য। কিন্তু তারা তা মেনে না নিয়ে আমাকে অন্যস্থানে বিয়ে দেওয়ার জন্য বিয়ে ঠিক করছিল। পরে গত ২২ জুলাই মাহবুবের সঙ্গে ঘর ছেড়ে চলে যাই। মাহাবুব আমাকে অপহরণ করেনি। আমরা বিয়ে করেছি। মাহাবুব এখন আমার স্বামী।
কথাগুলো বলছিলেন নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় স্বামীসহ আত্মসমর্পণকারী মারজিয়া। বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ১৩ দিন পর রোববার (৫ আগস্ট) থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন তারা। নিজেদের স্বাবলম্বী দাবি করে মারজিয়ার বাবার দায়ের করা মামলা থেকে বাঁচতে তারা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বলে থানায় জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ছয় বছরের ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ওই প্রেমিক যুগল ঘর ছেড়ে পালিয়ে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। কিন্তু প্রেমিকার বাবা প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এরপর থেকে পুলিশ খুঁজে বেড়াচ্ছিল তাদেরকে। পরে পুলিশের হাতে গ্রেফতার এড়াতে নিজেরাই থানায় হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন তারা।
পুলিশ জানান, বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ কবিলার মোড় এলাকার মৃত আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে মাহবুব (২৭) ও একই উপজেলার বাগবাড়ি এলাকার মনির আহম্মেদের মেয়ে মারজিয়া (১৭)। মাহাবুব গত ২২ জুলাই মারজিয়াকে অপহরণ করে বলে মারজিয়ার বাবা মনির মিয়া বন্দর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এ ঘটনার ১৩ দিন পর প্রেমিক যুগল থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। তবে প্রেমিক যুগল দাবি করেছে তারা একে অপরকে ভালোবেসে ঘর ছেড়েছে। কেউ কাউকে অপহরণ করেনি।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শাহীন মণ্ডল জানান, এই প্রেমিক যুগল প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় অপহরণ মামলায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের বিচারকই তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।
পিএনএস/এএ
‘আমাকে কেউ অপহরণ করেনি, আমরা বিয়ে করেছি’
06-08-2018 01:45PM