শেরপুরে অপহরণের ১১দিনেও উদ্ধার হয়নি স্কুলছাত্রী

  07-08-2018 07:10PM

পিএনএস, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমী ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণের ১১দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি তার কোন সন্ধানও দিতে পারেনি। স্কুল পড়–য়া মেয়েকে হারিয়ে বাবা ইউনুছ আলী ও মা মোছা. স্বপ্না বেগম পাগলপ্রায়। কিছুতেই পরিবারটির কান্না থামছে না।

গত ২৮জুলাই বিদ্যালয়টির প্রধান ফটকের সামনে থেকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। ঘটনার রাতেই ৫জনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত এজাহার দেন অপহরণ হওয়া ওই ছাত্রীর মা মোছা. স্বপ্না বেগম। কিন্তু ঘটনার প্রায় তিনদিন পর মামলা রেকর্ড করা হয়। পুলিশের এই রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার পর থেকে থানা পুলিশের কাছে বার বার ধর্না দেয়া হলেও আসামীদের গ্রেফতার কিংবা মেয়েকে উদ্ধারের কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না পুলিশ।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর জামতলা গ্রামের ইউনুছ আলীর স্কুল পড়–য়া মেয়ে (১৩) প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৮জুলাই বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। একপর্যায়ে স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে পৌঁছলে সেখানে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা বখাটে রুবেল আলমের নেতৃত্বে তিন-চার ব্যক্তি জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকসায় তুলে বগুড়া শহরের দিকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ রয়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার কোন সন্ধান না পেয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অপহরণ ও সহায়তার অভিযোগ এনে একটি মামলা করা হয়।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার মহিপুর জামতলা গ্রামের মৃত রজিব উদ্দিন মন্ডরের ছেলে রুবেল আলম (৩২), তার ভাই সোহেল রানা (২৬), দানিছ প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল মান্নান (৫২) ও রুবি বেওয়া (৫০)। মামলার বাদি মোছা. স্বপ্না বেগম জানান, তার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে বখাটে রুবেল উত্যক্ত করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করা হয়। এমনকি আর কোন দিন এ ধরণের কাজ করবে না মর্মে অঙ্গীকার করে রুবেল আলম। কিন্তু বেশ কিছুদিন নিরব থাকলেও আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠে। এমনকি তার মেয়েকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বলেন, ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে পুলিশের কোন গাফিলতি বা অবহেলা নেই। তাদের অবস্থান জানার জোর চেষ্টা চলছে। এক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তিরও সাহায্য নেয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই মেয়েটিকে উদ্ধারসহ ঘটনায় জড়িতদের ধরা সম্ভব হবে বলে আশাবাত ব্যক্ত করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন