শেরপুরে অটোভ্যান চালক মেরাজুল হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন

  17-08-2018 07:57PM

পিএনএস, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে অটোভ্যান চালক কিশোর মেরাজুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। ব্যাটারি চালিত অটোভ্যানটি ছিনিয়ে নিতেই শ^াসরোধ করে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়। এতে অংশ নেয় পাঁচজন। এরমধ্যে দুইজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারা দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

শুক্রবার (১৭আগস্ট) শেরপুর থানায় প্রেস বিফ্রিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানানো হয়। জেলার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেরপুর সার্কেল মো: গাজিউর রহমানের নেতৃত্বে গত ১৫আগস্ট এক অভিযান পরিচালনা করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শেরপুর থানার ওসি হুমায়ুন কবির, পুলিশ পরিদর্শক বুলবুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমান গণি। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

তারা হলেন- জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার রহবল গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও নাটোরের সিংড়া উপজেলার বামিহাল কুঞ্চি গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে সোহেল রানা (২৫)। এরপর তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তারা বলেন, ব্যাটারি চালিত অটোভ্যানটি ছিনিয়ে নিতেই চালক মেরাজুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর রাস্তার পাশের ফসলি জমির কাদামাটির মধ্যে তাঁর লাশ ফেলে দিয়ে অটোভ্যানটি নিয়ে চলে যায় তারা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, ভ্যান চালক মেরাজুল হত্যাকাণ্ডে রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত দুইজনকে গ্রেফতারের পর তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া অন্যদের ধরতেও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত: উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের বড়পুকুরিয়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে অটোভ্যান চালক মেরাজুল ইসলাম গেল ১৭জুন সন্ধ্যায় স্থানীয় জামাইল বাজার থেকে অটোভ্যানে যাত্রী নিয়ে রাণীরহাট বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। এমনকি তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবে পরদিন সকাল থেকেই পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সব জায়গায় তাঁর খোঁজখবর করতে থাকেন।

তবে তারা কোন অবস্থাতেই মেরাজুল ইসলাম ও তাঁর অটোভ্যানটির সন্ধান পাচ্ছিলেন না। শেষমেষ উপায় অন্ত না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে শেরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। পরে নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর গত ২০জুন মধ্যরাতে একই ইউনিয়নের পাঁচদেউলী বেলতলা এলাকায় একটি জমির মধ্যে থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন