ভুয়া প্রশ্ন কেনাবেচায় গ্রেফতার ১১

  06-10-2018 10:30PM

পিএনএস ডেস্ক : মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তিচ্ছুদের কাছে ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্রের সদস্যরা। তারা প্রশ্ন ফাঁসের প্রলোভন দেখিয়ে আগেই আগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হয়েছিল। পরীক্ষার আগে ফেসবুক-মেসেঞ্জার-ইমেইলসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের গছিয়ে দেওয়া হয় ভুয়া প্রশ্ন।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই চক্রের পাঁচ সদস্য ও প্রশ্ন কিনতে আসা ছয় শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। শনিবার ও শুক্রবার ধারাবাহিকভাবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। চক্রের সদস্যরা সবাই কোচিং সেন্টারের সঙ্গে জড়িত। তারা কোচিং সেন্টারের আড়ালে ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে অবৈধ অর্থ উপর্জনের চেষ্টা করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- ভুয়া প্রশ্ন সরবরাহ চক্রের সদস্য মহিদুল কবির লিমন, সারওয়ার হোসেন বিপ্লব, সাদ্দাম হোসেন, মাসুদ ও উজ্জল রবি দাস এবং প্রশ্ন কিনতে যাওয়া রিফাত সরকার, ফয়সাল আহমেদ, মোস্তাকিন ফুয়াদ, আবু সাঈদ, ইশা আলম ও তারেক হাসান। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের এক কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার মোট ১২টি চেক, মেডিকেল কলেজে ভর্তিচ্ছু ৯১ পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট/প্রশংসাপত্র, পাঁচ সেট ভুয়া প্রশ্ন, ১৬টি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

১১ জনকে গ্রেফতার উপলক্ষে শনিবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি কাইয়ুমুজ্জামান খান জানান, গ্রেফতারকৃতরা মেডিকেল কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের কাছ থেকে অগ্রিম চেক, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পরীক্ষার্থীদের একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের মূল কপি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে রেখেছিল। তারা প্রত্যেকেই কোচিং সেন্টারের সঙ্গে জড়িত। রাজধানীর ফার্মগেট, পান্থপথ, কল্যাণপুর, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব কোচিং সেন্টারের শাখা রয়েছে।

র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক বলেন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু সামনে আরও ভর্তি পরীক্ষা রয়েছে। এ ধরণের চক্রগুলো এসব পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের টার্গেট করতে পারে। তাই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। তারা যেন প্রলোভনের ফাঁদে না পড়েন।

র‌্যাব সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মিরপুর থানায় মামলা দায়ের করা হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মহাখালী থেকে এই চক্রের তিন সদস্য, তিন শিক্ষার্থী ও চার অভিভাবককে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন