সেই হেলমেটধারীসহ গ্রেফতার ৩

  20-11-2018 07:18AM


পিএনএস ডেস্ক: রাজধানীর পল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় ম্যাচ দিয়ে পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া ও হেলমেট পরে নাশকতাকারী তিনজনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

রোববার ও সোমবার ডিবি পুলিশের অভিযানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠাবে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত হেলমেটধারীরা হচ্ছেন এইচ কে হোসেন আলী ওরফে হৃদয় খান, সোহাগ ভূঁইয়া ও আশরাফুল ইসলাম ওরফে রবিন। এদের মধ্যে সোহাগকে শনি আখড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের হৃদয় ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা, রবিন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সোহাগ শাহজাহানপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।

গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির উপ-কমিশনার (ডিসি-পূর্ব) খন্দকার নুরুন্নবী বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে ডিবির একাধিক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, তাদের আটক করে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা তিনজনই পল্টনে নাশকতা ও ভাঙচুরের কথা স্বীকার করেছে। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মধ্যেই বুধবার ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

এর আগে বুধবার রাতেই বিস্ফোরক ও বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, বিশেষ আইনে এবং বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনে পল্টন থানায় মামলা তিনটি দায়ের করে পুলিশ। ২১ নম্বর মামলার বাদী হলেন পল্টন থানার এসআই সোমেন কুমার বড়ুয়া, ২২ নম্বর মামলার বাদী এসআই আল আমিন এবং ২৩ নম্বর মামলার বাদী এসআই শাহীন বাদশা। তিনটি মামলার এজহারে মোট ৪৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও সহস্রাধিককে আসামি করা হয়েছে।

ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির নয়া পল্টলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ নিপুণ রায়কে এবং বিএনপি নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমাকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এই ৩ জনসহ এঘটনায় মোট ৬৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যাত্রাবাড়ী বিএনপির সভাপতি নবীউল্লাহ নবী, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আকতারুজ্জামান এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিনকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। তবে রোববার মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে ৮ সপ্তাহের আগাম নেন।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন