মানিকগঞ্জে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ

  17-01-2019 03:27AM

পিএনএস ডেস্ক : মানিকগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সরকারী দেবেন্দ্র কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছে দুই ছাত্রলীগ কর্মী রাজু আহম্মেদ ও হৃদয়।

বুধবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ ক্যাম্পাসে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তাদের দু’জনকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাজুকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

অপরদিকে একই ঘটনায় সজিব হোসেন নামে মানিকগঞ্জ সরকারী টেকনিক্যাল কলেজের আরেক ছাত্রলীগ কর্মীকেও মানিকগঞ্জ মুন্নু মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাপস সাহা ও সদর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিফাত কোরেশী সুমন গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন তাপস ও সুমন।

সিফাত কোরশী সুমনের অভিযোগ, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে এখন পর্যন্ত তার গ্রুপের অন্তত্ব ১৫ জন কর্মীকে আহত করেছে তাপস গ্রুপ। দেবেন্দ্র কলেজের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের জিম্মি করে টাকা আদায় ও মোবাইল কেড়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তাপস গ্রুপের বিরুদ্ধে।
বুধবার সকালেও কলেজে ছাত্রলীগ কর্মী সজিবকে মারধর করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

অপর দিকে তাপস সাহা জানান, সুমন ছাত্রলীগের নামে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের প্রতিষ্ঠিত করছে। ছাত্রলীগের নামে সুমন গ্রুপের সন্ত্রাসীরা কলেজে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। সে ছাত্রলীগের একক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলেই প্রকৃতছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটায়।
তিনি বলেন, কলেজের সিসিটিভির ফুটেজ দেখলেই প্রমাণ পাওয়া যাবে কারা ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করছে।

এ বিষয়ে আহত দুই ছাত্রলীগ কর্মী জানান, প্রতিদিনের মতো আজ সকালে আমারা ক্যাম্পাসে আসি। আচমকাই ৪০-৫০ জন লোক আমাদের ধাওয়া করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছাতে পৌছাতেই আমাদের ধারলো অস্ত্র ও গ্যাসপাইপ দিয়ে বেধরক আঘাত করতে থাকে। আহত রাজু জানায় আমি জীবন বাঁচাতে দ্বিতীয় তলাতে অধ্যক্ষের রুমের ভিতরে ঢুকে দরজা লাগাতে গেলে দরজা লাথি মেরে সেখান থেকেই টেনে হিসরে বের করে এলোপাথারি ধারলো অস্ত্র দিয়ে জখম করতে থাকে। পুলিশের উপস্থিত হলে দুর্বৃত্তরা পালাতে থাকে। পরে পুলিশ আমাদের দু’জনকেই ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রকিবুজ্জামান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুই পক্ষেরই মৌখিকভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে সিসিটিভির ফুটেজ চাওয়া হয়েছে। ফুটেজ দেখেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন