'মাইয়া দেইক্ষা বাইচ্চা গেলি, নাইলে তরে হাসপাতালে পাডাইতাম'

  11-02-2019 11:45AM

পিএনএস ডেস্ক :আজ জীবনে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হলাম। মেয়ে বলে চুপ চাপ সহ্য করে বাড়ি ফিরতে হলো। কিন্তু কথাগুলো সবার সাথে শেয়ার না করে পারলাম না যেন আর কোন মেয়ে এরকম নির্যাতনের শিকার না হয়। ঘটনাটা কিছুটা এরকম ছিলো:



আজ দুপুরের দিকে ছোট ভাইকে নিয়ে নিউমার্কেটের "চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট" যাই, সেখানে "তানহা ফ্যাশন" নামে একটি দোকানে জিন্স প্যান্ট কিনতে ঢুকি কিন্তু আহামরি কোনো প্যান্ট পছন্দ না হওয়ায় বের হতে চাই। অথচ দোকানদার এটা সেটা বলে বার বার আটকে রেখে অন্য প্যান্ট দেখাচ্ছিলো। আমরা বার বার বলি যে পছন্দ হচ্ছে না। তবুও দোকানদার জোর করতে থাকে।

তার মধ্যে একটি প্যান্ট ঢোলা বলে অপছন্দ হয়। সে গোডাউন থেকে ছোট সাইজ আনবে বলে আধা ঘন্টারো বেশি দোকানে বসিয়ে রেখে দর্জি দিয়ে ঐ প্যান্টটিকেই চাপিয়ে আনে। যা আগের চেয়েও বেশি বিশ্রি হয় এবং সে সেটা অস্বীকার করে। তবে প্যণ্ট উল্টো করাতেই সে ধরা পরে যায়। একপর্যায়ে বের হয়ে যেতে চাইলে সে আমার ছোট ভাইয়ের হাত ধরে দোকানে টান দিয়ে আটকে দেয় এবং প্যান্ট নিতেই হবে বলে জোর করে। আমি তার হাত ছাড়িয়ে ভাইকে আনতে গেলে সে ভাইয়ের হাত ধরে টানা টানি করে। আমি ঝার দিয়ে হাত ছাড়িয়ে ভয়ে দোকান থেকে বের হতে চেষ্টা করি। তাই দোকানদার ও তার সেলসম্যান পিছন থেকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং আমার ভাইয়ের সাথে আমাকে মিলিয়ে কুকথা বলে। একপর্যায়ে আমি পালটা উত্তর দিলে সে জুতা হাতে আমার দিকে তেড়ে আসে। কিন্তু অন্য লোকেরা তাকে আটকে দেয়ায় সে আমার গায়ে হাত তুলতে পারেনি। তবে হুমকি স্বরুপ বলে "মাইয়া দেইক্ষা বাইচ্চা গেলি নাইলে তরে হাসপাতালে পাডাইতাম "।

এত লোক ছিলো কেউ একটুও প্রতিবাদ করলো না বরং আমাকেই বলে আপা চলে যান। ভাই কে নিয়ে মাথা নিচু করে বের হয়ে গেলাম। সারা রাস্তা কান্না করতে করতে বাড়ি এসেছি। ভাইকে মিলিয়ে আমাকে এতটাই খারাপ কথা বললো এখন পর্যন্ত ভাইয়ের চোখের দিকে তাকাতে পারছি না।

এখন আমার একটাই প্রশ্ন, দিনে দুপুরে যেভাবে মারার হুমকি পেতে হলো তাতে করে সমাজে নারী নিরাপত্তা কোথায়?

(লেখকের ফেসবুক স্ট্যাটাস)।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন