পাউবো’র সিরাজগঞ্জের গ্রেট দুর্নীতিবাজের খুটির জোর জনৈক হিরণ এবং জনৈক জাপা নেতা- জালিয়াতির অশুভ সূচনা

  18-02-2019 10:42PM

পিএনএস (মোঃ শাহাবুদ্দিন শিকদার) : কোন এক জাতীয় পার্টির নেতা এবং জনৈক হিরণের খুটির জোরে পাউবো’র “গ্রেট দুর্নীতিবাজ” ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে সিরাজগঞ্জে গদীনশীন হয়েছে। ঐ দুই ব্যক্তি প্রাইজ পোষ্টিং-এর তদ্বির করে কতো টাকা নিয়েছেন তা নিয়ে নানা মুখরোচক গল্প চাউর হয়েছে। পাশাপাশি ঐ দুই তদ্বিরবাজ এখন সিরাজগঞ্জ পাউবো’র দণ্ডমুণ্ডের কর্তা ব্যক্তি হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ইতিমধ্যেই জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সম্পূর্ণ অনিয়মের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জের দু’টি কাজ বাগিয়ে নিয়েছে যদিও ঐ কাজ হিল্টন নামে অপর এক ঠিকাদারের পাওয়ার কথা বলে সূত্র জানিয়েছে।

পাউবো’র সূত্র মতে, বর্তমান পানি সম্পদ সচিব কবীর বিন আনোয়ার পাউবো’র উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। ইতিমধ্যেই তাঁর গতিশীল নেতৃত্ব পাউবো’র দুর্নীতি ও অনিয়ম বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। সচিব মহোদয়ের যাদুকরী স্পর্শে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের পাশাপাশি কতোগুলো বড় প্রকল্প আলোর মুখ দেখেছে। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ এর নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীও প্রকল্প বাস্তবায়নে নদী থেকে নদীতে ছুটে বেড়াচ্ছেন। এ সমস্ত কর্মকা-ের মাধ্যমে পাউবো’র ইতিবাচক ইমেজ যেখানে বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিক সেখানেই সিরাজগঞ্জের জাতীয় পার্টির জনৈক নেতা, জনৈক হিরণ এবং সিরাজগঞ্জে গদীনশীন পাউবো’র জনৈক কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেট পাউবো’র ইমেজ ক্ষুন্ন করছে। ইতিমধ্যেই সিরাজগঞ্জের দু’টি দরপত্রের কাজ হিল্টন নামে জনৈক ঠিকাদার পাওয়ার কথা থাকলেও জনৈক হিরণ এবং জনৈক জাতীয় পার্টির নেতা তা গায়ের জোরে নিয়ে গেছে। ইজিপির মাধ্যমে দরপত্র বাস্তবায়িত হওয়ায় দরপত্র দলিলাদি পরীক্ষা করলেই জালিয়াতির প্রমাণ মিলবে। এই দু’টি দরপত্রে ব্যাপক জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন গদীনশীন কর্মকর্তা। এই কর্মকর্তা অতীতে নিজের চেয়ার ধরে রাখার জন্যে পাউবো’র বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেছেন সর্বোপরি তিনি পাউবো’র টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্তকে বরাবরই অবজ্ঞা করেছেন। পাউবো’র টাস্কফোর্সের আহবায়ক কাজী তোফায়েল হোসেনের কাছে তার বিরুদ্ধে কাড়ি কাড়ি অভিযোগ থাকলেও পাউবো’র বর্তমান প্রশাসন রহস্যজনক কারণে তা আমলে নিচ্ছে না। ফলে বিভিন্নমহলে নানামুখী কানাঘুষা শুরু হয়েছে। এই গ্রেট দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা তার প্রতিটি কর্মস্থলে ব্যাপক দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ইতিমধ্যেই কোটি কোটি টাকার মালিক সেজেছে। সব শেষে কুড়িগ্রামে জরুরী কাজে ব্যাপক দুর্নীতি করে সরকারের ৮ কোটি টাকার বেশী অপচয় করেছেন।

অভিজ্ঞমহল মনে করেন, পাউবো’র ভাবমূর্তি রক্ষার পাশাপাশি আসন্ন বর্ষায় সিরাজগঞ্জ যাতে আবার ভাঙ্গনের কবলে না পড়ে সেই লক্ষ্যে আলোচ্য “গ্রেট দুর্নীতিবাজ” কে চিহ্নিত করে তার সারা জীবনের আমলনামা পর্যালোচনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা যেতে পারে। এটা যতো তাড়াতাড়ি করা যাবে ততোই তা পাউবো’র জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন