যেভাবে বিক্রি হলো মাদরাসা ছাত্র

  16-05-2019 02:51AM



পিএনএস ডেস্ক: নরসিংদীর রায়পুরা থেকে ফুসলিয়ে রাঙ্গামাটির বরকলে জোরপূর্বক মাছ ধরার কাজে (শ্রম শোষণ) নিয়োজিত করার ৮ মাস পর এক বালককে উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাঙ্গামাটি থেকে খোকন আলী (২৭) নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত খোকন রাঙ্গামাটির বরকলের কুরকটিছড়ি গ্রামের মৃত আক্কাছ আলীর ছেলে। বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার বলেন, ৮ মাস আগে রায়পুরার নলবাটা গ্রামের মৃত আলমগীর হোসেনের ছেলে, স্থানীয় একটি মাদরাসা ও এতিমখানার ছাত্র ফজর রহমান সাব্বিরকে প্রলোভন দেখিয়ে চট্টগ্রাম নিয়ে যায় পাচারকারী দলের এক অজ্ঞাত সদস্য। ট্রেনযোগে চট্টগ্রামে নেয়ার পর সেখানে সাব্বিরকে নাজিম নামে একজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন নাজিম সাব্বিরকে খোকন আলীর কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে আসামি খোকন আলী বরকলের কুসুমতলী এলাকায় সাব্বিরকে জোরপূর্বক মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত করে। একাধিকবার সাব্বির সেখান থেকে কৌশলে পালানোর চেষ্টা করলে খোকন তাকে মারপিট করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আটক করে অন্যদের সঙ্গে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত রাখে।

একমাস পর সাব্বির কৌশলে খোকন আলীর মোবাইল ফোন দিয়ে তার মা বিলকিস বেগমকে ফোন করে ঘটনার বিবরণ দেয়। পরে ওই নম্বরে ফোন দিয়ে ছেলের খোঁজ জানতে চাইলে মা বিলকিস বেগমকে জানানো হয় সাব্বিরকে সে টাকার বিনিময়ে কিনে নিয়েছে এবং তাকে ফেরত দেয়া যাবে না।

এ ঘটনায় বিলকিস বেগম নরসিংদীর পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন জানালে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাব্বিরকে উদ্ধার ও আসামি খোকন আলীকে গ্রেফতার করা হয়।

আসামি খোকন মাছ ধরার মৌসুমে দালাল চক্রের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অল্প বয়সী ছেলেদের নিয়ে বিভিন্ন নৌকায় মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত করার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন