স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দিলো পুলিশ সদস্য

  20-05-2019 06:13PM

পিএনএস ডেস্ক : মাদারীপুর পৌরসভার টিবি ক্লিনিক সড়কে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মোক্তার হোসেন নামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নির্যাতিত স্কুলছাত্রীকে গত রোববার রাতে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর পুলিশ লাইনের পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেন দীর্ঘদিন থেকে শহরের টিবি ক্লিনিক সড়কে ভাড়া থাকেন। কয়েক দিন আগে মোক্তারের গর্ভবতী স্ত্রী গ্রামের বাড়ি চলে যান। এই সুযোগ রোববার রাতে শহরের টিভি ক্লিনিক সড়কের প্রতিবেশী এক স্কুলছাত্রী ঘরে ডেকে নেয়। এসময় দরজা বন্ধ করে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়।

পরে পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেন স্কুলছাত্রীকে পেছনের ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেয়। এতে স্কুলছাত্রী গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। নির্যাতিত স্কুলছাত্রী বলেন, ‘মোক্তার হোসেন আমাকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে আমার সাথে খারাপ কাজ করেছে। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিলে আমাকে সে ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেয়। এতে আমার পায়ের হার ভেঙে গেছে। এর আগে সে আমাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে।’

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘক্ষণ ঘরের মধ্যে ওই মেয়েকে নিয়ে থাকায় আমাদের সন্দেহ হয়। পরে আমরা বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলে সে মেয়েটিকে ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেয়। এতে মেয়েটি গুরুতর আহত হয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ব্যাপারে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. লেলিন জানান, ‘মেয়েটি হার ভেঙে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সেরে উঠতে কমপক্ষে আরো ৩ মাস সময় লাগবে।’

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাকে শুধু শুধু স্থানীয়রা ঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। ওই মেয়ের সাথে আমার কিছু হয়নি। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে আপনি পুলিশ সুপার বা ওসির সাহায্য নেননি কেন? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। এ ঘটনায় দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। অধিকতর তদন্ত চলছে।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন