কাজের কথা বলে ছাত্রীদের ডেকে নিয়ে করতেন ধর্ষণ

  12-07-2019 07:55AM



পিএনএস ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদরাসার ১২ ছাত্রীকে নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেফতার মাদরাসা অধ্যক্ষ আল আমিন দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কাউছার আলমের আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে অধ্যক্ষ আল আমিন দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এরপর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আরেকটি মামলা রয়েছে। এ মামলায় আগামী রোববার আল আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে আরও ১০ দিনের রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

মামলার তদন্তকারী অফিসার মুহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম জানান, অধ্যক্ষ আল আমিন তার মুঠোফোন ও কম্পিউটারে পর্নো ছবি রাখতেন। প্রায় সময় সেই ছবি দেখতেন। এতে যৌন উত্তেজনা ধরে রাখতে না পেরে ছাত্রীদের নিপীড়ন করতেন। এছাড়াও আরও গুরুত্বপূর্ণ আছে যা তদন্তের স্বার্থে বলা যাচ্ছে না।

আদালত সূত্রে জানা যায়, পৃথক দুটি মামলায় উল্লেখ আছে- মাদরাসায় অধ্যয়নকালে একাধিক ছাত্রীকে মূলত পানিপানের প্রলোভনে ঘরে ডেকে নিতেন আল আমিন। এছাড়া বইপত্র গোছানোসহ নানা ইস্যুতে ছাত্রীদের নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করতেন। এসব ঘটনার সময় আল আমিনের স্ত্রী বাসায় থাকতেন না। মূলত তার অবর্তমানেই এসব অনৈতিক কাজ হতো।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন ছাত্রীর ছবি তুলে সেই ছবির মাথা কেটে অন্য দেহে পর্নোগ্রাফি ছবির সঙ্গে যুক্ত করতেন আল আমিন। আর এসব ছবি দেখিয়ে ওই ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেইলিং করা হতো।

উল্লেখ্য, ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর এলাকায় অবস্থিত ওই মাদরাসা থেকে গত ৪ জুলাই সকাল ১১টায় আল আমিনকে গ্রেফতার করে র্যাব।

পিএনএস/ হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন