স্ত্রী-সন্তানের গলাকাটা লাশ, স্বামী আহত

  22-07-2019 03:18PM

পিএনএস ডেস্ক : মাগুরার সদর উপজেলায় বাড়ি থেকে স্ত্রী ও শিশুপুত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বামীকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর গলায় ধারালো বঁটির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ধারণা, পারিবারিক অশান্তি থেকে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকতে পারেন স্বামী।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পারনান্দুয়ালি মিস্ত্রিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন বিট্টু মজুমদারের স্ত্রী পুণ্য (২৫) ও ১০ মাসের ছেলে মানব। গুরুতর জখম অবস্থায় বিট্টু মজুমদারকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

বিট্টু মজুমদারের কাকা সুভাষ ও জ্যাঠাতো ভাই স্বপন জানান, বিট্টু মজুমদারের স্ত্রী মুসলিম পরিবারের মেয়ে। বিট্টু পেশায় কাঠমিস্ত্রি। কাজের প্রয়োজনে আড়াই বছর আগে চুয়াডাঙ্গায় গিয়ে পরিচয় হয় পুণ্যের সঙ্গে। পরিবারের অমতেই তাঁরা বিয়ে করেন। বিট্টুর পরিবার এ বিয়ে মেনে না নেওয়ায় তিনি স্ত্রীকে নিয়ে মাগুরা শহরের পাশে আঠারোখাদা গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। তিন-চার মাস আগে স্থানীয় কাউন্সিলদের সহায়তায় বিট্টু স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে নিজ গ্রাম পারনান্দুয়ালি মিস্ত্রিপাড়ায় ফিরে আসেন। তবে নিজের বাড়িতে না থেকে ইউসুফ নামের এক ব্যক্তির দুই কক্ষের বাসা ভাড়া নেন।

আজ সকালে বাড়িটিতে ‘কিছু একটা ঘটেছে’ অনুমান করে গ্রামবাসী পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখে, পুণ্য ও মানবের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। বিট্টু মজুমদারে গলায় কাটা দাগ, তিনি আহত অবস্থায় পড়ে আছেন। পাশেই পড়ে রয়েছে ধারালো বঁটি।

মাগুরার পুলিশ সুপার (এসপি) খান মুহাম্মদ রেজোয়ান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, বিট্টু মজুমদারের পরিবার বিয়েটি মেনে না নেওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি ছিল। সেই জেরেই বিট্টু মজুমদার স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছেন। বাড়ির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। তাই বাইরের কেউ এসে সেখানে হত্যার ঘটনা ঘটায়নি বলে মনে করা হচ্ছে।

এসপি জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিট্টু মজুমদারকে মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মা ও শিশুর লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন