পিএনএস (মোঃ শাহাবুদ্দিন শিকদার) : বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং কাজে স্পয়েল বা ড্রেজ আর্থ ব্যবস্থাপনায় মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে। কোন কোন নদীর পাশে ড্রেজিং স্পয়েল ফেলার জায়গা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও কোথাও স্থানীয় লোকজন ড্রেজার বহরে আক্রমন পর্যন্ত চালাচ্ছে। কারণ ড্রেজিং স্পয়েল ফেলার কারণে তাদের ফসলী জমি কিংবা বাড়ির পাশের ডোবা ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে তারা সাময়িক ভাবে ফসল ও মৎস্য উৎপাদন করতে না পারায় আর্থিক ভাবে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলে ড্রেজিং স্পয়েল ম্যানেজমেন্ট বরাবরের মতো এখনও এক বিরাট সমস্যা। অন্যান্য অনেক স্থানেও ড্রেজিং স্পয়েল ফেলার জায়গা পাওয়া যায় না। আবার শহর বা জনপদের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদীর ড্রেজিং স্পয়েলের চাহিদা রয়েছে। এখানে বাড়ির পাশের নীচু জমি, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার জায়গা ভরাটকরণে এগুলো কাজে লাগানো হয়। এ সমস্ত এলাকায় ড্রেজিং চলাকালে স্থানীয় রাজনৈতিক শক্তি, প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং এক শ্রেণীর টাউট-বাটপার মানুষের জমি ভরাটকরণের মাধ্যমে কিছু টাকা-পয়সা গ্রহণ করে থাকে। এই দুষ্ট চক্র অর্থ আয়ের সময় বিআইডব্লিউটিএ’র বিভিন্ন প্রকৌশলীর নাম পর্যন্ত ব্যবহার করে থাকে। বাস্তবে অনেকাংশে প্রকৌশলী বা কর্মকর্তারা জানেনই না যে ড্রেজিং স্পয়েল বিক্রি হচ্ছে কি না? এতে করে ক্ষেত্র বিশেষে বিআইডব্লিউটিএ’র প্রকৌশলীদের ইমেজ ক্ষুন্ন হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে সংস্থা এবং কর্মকর্তাদের মানহানি হচ্ছে।
অভিজ্ঞমহল মনে করেন, বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং কাজ চলমান রাখতে এবং সংস্থা ও প্রকৌশলীদের ইমেজ রক্ষার স্বার্থে ড্রেজিং স্পয়েল ব্যবস্থাপনায় নীতিমালা জরুরী হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে যাতে করে অতি তাড়াতাড়িই নীতিমালা প্রণীত হয়।
বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং স্পয়েল ব্যবস্থাপনায় নীতিমালা প্রণয়ন জরুরী- (পর্ব-১)
22-07-2019 08:45PM