রেমিটেন্সে বাংলাদেশ নবম: বিশ্বব্যাংক

  24-04-2018 09:10AM


পিএনএস ডেস্ক: বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা ২০১৭ সালে এক হাজার ৩৫০ কোটি ডলার অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন; যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। সোমবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংক এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাটি জানিয়েছে, এর মাধ্যমে বৈশ্বিকভাবে রেমিটেন্স প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ নবম স্থানে রয়েছে। এক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

তার আগে রয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। ভারত এ বছরে ৬ হাজার ৯০০ কোটি ডলার রেমিটেন্স পেয়ে শীর্ষ স্থানে আছে। পাকিস্তানের নাগরিকরা এ সময়ে দেশে পাঠিয়েছেন এক হাজার ৯৭০ কোটি ডলার।

বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পরিমাণ অপরিবর্তিত আছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস সৌদি আরব, আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত ও মালয়েশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হতে থাকায় দেশটিতে এখন বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

অন্যদিকে শ্রীলংকার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পরিমাণ ২০১৭ সালে কমেছে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। এ সময়ে নেপালের আয় হয়েছে ৬৯০ কোটি ডলার; যা দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ২৯ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংকের অভিবাসন ও উন্নয়ন শীর্ষক আজ এক সভায় বলা হয়, সৌদি আরব গত বছর নিজ দেশের নাগরিকদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করানোর যে নীতি হাতে নিয়েছে, তাতে বিদেশি কর্মীদের ক্ষেত্রে একটা বড় ধাক্কা লাগে। বাংলাদেশ যদি তার আগে সৌদির শ্রমবাজার ধরতে পারতো বা চুক্তি অনুযায়ী ৪ লাখ শ্রমিক পাঠিয়ে দিতো, তবে ওই ধাক্কা এড়িয়ে যাওয়া যেত।

কিন্তু ২০১৮ সালে শ্রমশক্তি রপ্তানি কার্যক্রমের গতি মন্থর হয়ে পড়ে বাংলাদেশে। মাত্র ৫৯ হাজার শ্রমিককে সৌদি আরব পাঠানো হয়েছিল ওই মাসে। অথচ ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৮৫ হাজার জনকে পাঠানো সম্ভব হয়েছিল।

রেমিটেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ভারতের পরে রয়েছে যথাক্রমে চীন, ফিলিপাইন, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, মিশর, পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন