পিএনএস ডেস্ক: এখন থেকে এক টাকা খেলাপি হলেও ওই ঋণ-খেলাপি গ্রাহকের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে জানাতে হবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ সার্কুলারে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতদিন এই তথ্য দেওয়ার সীমা ছিল ঋণের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকার ওপরে, আর ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকার বেশি। অর্থাৎ এই দুই ক্ষেত্রে গ্রাহকের খেলাপি যথাক্রমে ৫০ হাজার টাকা ও ১০ হাজার টাকার কম হলে ওই তথ্য দিতে হতো না।
দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ যখন প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা ছুঁইছুঁই, তখনই এ ধরনের নির্দেশনা জারি করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য ভাণ্ডার ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) দাখিল করা ঋণ তথ্যের নিম্নসীমা ১ টাকায় পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতের ঋণশৃঙ্খলা জোরদারকরণের লক্ষ্যে সিআইবি ডাটাবেজে সব ঋণতথ্য অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রয়োজন। এ প্রেক্ষিতেই সিআইবি ডাটাবেইজে দাখিলকৃত ঋণতথ্য রিপোর্টিং এর নিম্নসীমা পুনঃনির্ধারণপূর্বক সব ঋণতথ্য অন্তর্ভুক্তিকরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সার্কুলারে এখন থেকে মাসিক ভিত্তিতে ঋণতথ্য সিআইবি অনলাইন সিস্টেমে তুলতে বলা হয়েছে। গত মার্চ মাসের তথ্য ১০ মের মধ্যে তুলতে করতে হবে। আর এপ্রিল এবং পরের মাসগুলোর তথ্য পরবর্তী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে সিআইবিতে যুক্ত করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে ঋণগ্রহীতার সব তথ্য পাঠায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। কোনো গ্রাহককে ঋণ দেওয়ার আগে গ্রাহকের সিআইবি রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা বাধ্যতামূলক।
সে অনুযায়ী খেলাপি গ্রাহকরা নতুন করে ঋণ নিতে পারেন না; কিন্তু আগের ব্যবস্থায় ৫০ হাজার টাকার নিচে খেলাপিদের তথ্য থাকত না। এখন এক টাকা খেলাপি হলেও নতুন ঋণ নেয়া যাবে না।
পিএনএস/আল-আমীন
এখন থেকে ১ টাকা ঋণখেলাপি হলেও জানাতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে
29-04-2018 02:34PM