প্রকাশ্যে দেশের আইন ও নিয়মের অবজ্ঞা আর কত!

  17-08-2018 04:04PM

পিএনএস (মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রধান) : ২২ আগস্ট বুধবার ঈদ-উল আযহা। চাঁদ দেখা কমিটি ঈদের এ তারিখ ঘোষণা করেছে। সে অনুযায়ী দেশে ঈদ ও কোরবানি হবে। কিন্তু একটি মহল দেশ ও ধর্মীয় নিয়ম, রীতি-নীতি ও শৃঙ্খলাকে প্রকাশ্যে অবজ্ঞা করে সৌদির সঙ্গে কথিত মিল রেখে দেশের ৯৯ শতাংশ মুসলমান যখন রোজা রাখছে তখন কিছু ভণ্ড ঈদ করে!

বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেওয়ায় তাদের অতি বাড় বেড়েছে। ৭৩ ফেরকার একটি বেহেস্তে যাবে। বাকিরা কুফল ভোগ করে জায়গামতো অবস্থান করবে। ফেরকাবাজির সুযোগ নিয়ে মহলটি দেশে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

অতি বিদ্যা ভয়ঙ্করী, বিষয়টা অনেকটা তাই বলে মনে করছেন উপমাহাদেশের প্রখ্যাত আলেম সমাজ। দেশের আইন-নিয়ম মেনে চলা সুন্নত তথা সুন্নাতে রাসুল। নিয়ম করে সব হলেও, মানলেও ফেরকাবাজ মহলটি ঈদ ও কোরবানি নিয়ে ভণ্ডামি ও নোংরামি অব্যাহত রেখেছে।

যখন দেশের সব মানুষ রোজা রাখে, দেখা যায় তখন ওই ভণ্ডরা দিবালোকে খাচ্ছে! ঈদ করছে! রোজাদারদের সঙ্গে এমন উপহাস আর কিছু হতে পারে না। নিজ ধর্মের লোকজন যদি এমনটা করে, তাহলে বিধর্মী বা অন্য ধর্মাবলম্বীরা রোজাদারদের প্রতি চলমান শ্রদ্ধা কদিন বজায় রাখবে? বিষয়টা অনেকটা ঘরের শত্রু বিভীষণ।

এ দেশে থাকবে, এ দেশে খাবে; এ দেশের আলো-বাতাসে বড় হবে- আর নিয়ম মানবে সৌদি আরবের! এটা হতো পারে না। হতে দেওয়া যায় না। আশকারা পেয়ে তাদের অতি বাড় বেড়েছে। আর বাড়তে দেওয়া মানে দেশে ও সমাজে বিশৃঙ্খলাকে স্থায়ী রূপ দেওয়া। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়িকে প্রশ্রয় দেওয়া।

সময় থাকতে এটা নিয়ে হানাহানি ও নৈরাজ্য সৃষ্টি হওয়ার আগেই, একটা কিছু করা সময়ের দাবি। দেখা যায় কোথাও কোথাও রোজার ঈদ একদিন আগে হচ্ছে, তখন সুযোগসন্ধানী বেরোজাধার কেউ ওখানে গিয়ে শামিল হয়ে দিনের বেলা প্রকাশ্যে খাওয়াদাওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায়। আর ভণ্ডরা প্রচার করছে এত গ্রামের মানুষ ঈদ করেছে। আসলে গ্রামের সংখ্যাগরিষ্ঠরা নয়, নয় লগিষ্ঠ, একবারে নগণ্য- দুচারজন এতে যায় ।

কথা খুবই সোজা। এ দেশে থাকতে হলে দেশের নিয়ম মেনে চলতে হবে। মুসলমান হলে শৃঙ্খলের মধ্যে আসতে হবে এবং থাকবে। মুসলমানরা তো ঐতিহাসিকভাবেই শৃঙ্খলার অনন্য উদাহরণ। যে বা যারা এর অন্যথা করছে, এদের নবী-রাসুল ও শান্তির ধর্ম ইসলামের অনুসারী ভাবতেও কষ্ট হয়।

সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী এ ফেতনার অনুসারীদের অঙ্কুরেই সঠিকভাবে শিক্ষা না দিলে, ধর্মী নিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সময়ের কাজ সময়ে করলে যা থেকে সহজে নিস্তার মিলবে। আমরা সবাই রাষ্ট্র ঘোষিত একই দিনে চাঁদ দেখে রোজার সমাপ্তি ও ঈদ করতে চাই। যেমনটা হয়ে আসছে। শয়তানের দোসরদের পাতা ফাঁদে পা দেব না। আল্লাহ আমাদের মধ্যে ঐক্য অটুট রাখুন।

লেখক : বার্তা সম্পাদক- পিএনএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন