বাংলাদেশ সক্ষমতা সূচকে একধাপ পেছালো

  17-10-2018 03:51PM


পিএনএস ডেস্ক: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিচারে গত এক বছরে প্রতিযোগিতার সক্ষমতায় বাংলাদেশের কিছুটা উন্নতি হলেও বৈশ্বিক সূচকে অবস্থানের অবনমন ঘটেছে এক ধাপ।

ফোরামের ‘গ্লোবাল কমপেটিটিভনেস রিপোর্ট ২০১৮ বলছে, এবার ১৪০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ১০৩তম অবস্থানে। আগের বছর ১৩৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০২তম অবস্থানে ছিল।

চলতি বছরের শুরুতে চালানো জরিপের ভিত্তিতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বুধবার বিশ্বব্যাপী একযোগে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ফোরামের পক্ষে বাংলাদেশে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

একটি দেশের অবস্থান বিচারের জন্য প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্য, দক্ষতা, পণ্য বাজার, শ্রম বাজার, আর্থিক ব্যবস্থা, বাজারের আকার, বাজারের গতিশীলতা, নতুন ধারণার আত্মীকরণ- এই ১২টি মানদণ্ড ব্যবহার করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম।

এসব মানদণ্ডের ভিত্তিতে ১০০ ভিত্তিক সূচকে সব মিলিয়ে এবার বাংলাদেশের স্কোর হয়েছে ৫২.১, যার গতবছরের স্কোরের চেয়ে ০.৭ বেশি।

গতবছর এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানে সাত ধাপ, তার আগের বছর এক ধাপ অগ্রগতি হয়েছিল। এবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এই সূচক তৈরির মেথডলজিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। তুলনা করার সুবিধার জন্য এ প্রতিবেদনে গত বছরের সূচকের অবস্থানও নতুন মেথডলজিতে প্রকাশ করা হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বলছে, সূচকের মানদণ্ডগুলোর মধ্যে প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্য, দক্ষতা, শ্রম বাজার, বাজারের আকার, উদ্ভাবনী ক্ষমতায় বাংলাদেশের উন্নতি হলেও পণ্য বাজার, আর্থিক ব্যবস্থা, বাজারের গতিশীলতায় অবনতি হয়েছে।

বিশ্বে প্রতিযোগিতা সক্ষমতার দিক দিয়ে এবারের সূচকের শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, তাদের স্কোর ৮৫ দশমিক ৬। এরপরই রয়েছে সিঙ্গাপুর, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, জাপান, নেদারল্যান্ডস, হংকং, যুক্তরাজ্য ও সুইডেন ও ডেনমার্ক।

এই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার চেয়ে এগিয়ে আছে ভারত। ৬২ স্কোর নিয়ে ভারত আছে সূচকের ৫৮ নম্বরে। গতবারের চেয়ে পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে দেশটির।

শ্রীলঙ্কা ৫৬ স্কোর নিয়ে সূচকের ৮৫তম, ৫১ স্কোর নিয়ে পাকিস্তান সূচকের ১০৭ নম্বরে এবং নেপাল ৫০.৮ স্কোর নিয়ে ১০৯ নম্বর অবস্থানে রয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম ২০০১ সাল থেকে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। সিপিডি বাংলাদেশে বৈশ্বিক এই ফোরামের সহযোগী হিসেবে কাজ করে।

ঢাকায় এ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “সার্বিকভাবে এবার বাংলাদেশের পয়েন্ট কমেনি বরং শূন্য দশমিক ৭ পয়েন্ট বেড়েছে। কিন্তু এবার নতুন করে তথ্য প্রযুক্তি খাত অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ খাতে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে থাকায় সার্বিকভাবে অবস্থানগত পরিবর্তন হয়েছে।”

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন