১০ বছরে ব্যাংকের সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা লোপাট!

  09-12-2018 01:37PM


পিএনএস ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিগত ১০ বছরে ব্যাংক থেকে লোপাট করা হয়েছে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। স্থূলভাবে নিয়মকানুন ভঙ্গ করে লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো আমানতকারীরা প্রশ্ন করছে, ‘কোন ব্যাংকে আমার আমানত নিরাপদ থাকবে’। এ ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি অতীতে আর কখনো হতে হয়নি। দুর্নীতির কারণে বিপদগ্রস্ত ব্যাংক মালিকদের আবার আইনি সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক ব্যাংক কোম্পানি আইনের পরিবর্তন তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এতে করে আমানতকারীদের পুরো ঝুঁকিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। এখন আবার নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ‘নিয়ন্ত্রকরা এখন নিয়ন্ত্রিত’ হচ্ছেন। ফলে এ যাবতকালে দেশের ব্যাংকিং খাত সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচনের পরে ব্যাংকিং খাত সম্পর্কে গঠন করা হবে একটি ‘নাগরিক কমিশন’।

গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘দেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে আমাদের করণীয় কী’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক ডেপুটি গভর্নর খন্দকার ইব্রাহিদ খালেদ, বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান, প্রফেসর আবু আহমেদ প্রমুখ।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, গত দশ বছরে প্রতারণার মাধ্যমে ব্যাংকিং খাত থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। এই ক্ষতি পদ্মা সেতু নির্মাণের ৭৮ ভাগ, মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ৬৪ ভাগ, সোনাদিয়ার গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের ৪১ ভাগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ২০ ভাগ ব্যয়ের সমান। প্রবন্ধে বলা হয়, লোপাট হয়ে যাওয়া অর্থের মধ্যে জনতা ব্যাংক থেকে ১১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা, সোনালী ব্যাংক থেকে ৩ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংক থেকে ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, সোনালী, জনতা, এনসিসি, মার্কেন্টাইল ও ঢাকা ব্যাংক ৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, জনতা, প্রাইম, যুমনা, শাহজালাল ও প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে ১ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা, এবি ব্যাংক ১৬৫ কোটি টাকা, এনআরবি কমার্শিয়াল ৭০১ কোটি টাকা, ফারমার্স ব্যাংক ৫০০ কোটি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৬৭৯ কোটি টাকা নেয়া হয়েছে।

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, দেশের মধ্যে এই প্রথম আমি আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে, সাধারণ মানুষেরা, আমানতকারীরা প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন, কোন ব্যাংকে রাখলে আমার আমানত নিরাপদ থাকবে। আমি আগে কখনো এই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়নি। তার কারণ হচ্ছে, আগে মনে করা হতো সরকার তো আছে, ব্যাংক ব্যর্থ হলে সরকার তাদের রক্ষা করবে। কিন্তু সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতায় অনেকে মনে করছেন, আসলে কিছু করা হবে না। কয়েকটি ব্যাংকের কারণে এই সংশয় দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতির অনেক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে আমাদের দেশে কোনো একটি খাতে উন্নয়নের বদলে যদি অবনতি হওয়ার কথা বলা হয় আমি সেটাকে ব্যাংকিং খাত বলবো। অথচ এ ব্যাংকিং খাত হলো পুরো অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। ব্যাংকিং খাত থেকে সব অর্থনীতির প্রাণশক্তি সঞ্চালিত হয়। আমাদের উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে যেতে হলে এই ব্যাংকিং খাত নিয়ে আমরা যেতে পারব না, এটি সত্যি। এটির উন্নতি করতেই হবে। এখুনি যেটা আমরা অনুভব করছি যে, ব্যাংকিং খাতের যে দুর্বলতা বা অবস্থা তা বিশ্বব্যাংক বা আইএমএফ দেখুক বা না দেখুক তার কিছু যায় আসে না। কারণ ব্যাংকগুলোর অবস্থা আর আগের মতো নেই। কিন্তু ইতোমধ্যে দেশের ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা নিয়ে আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থাগুলো কথা বলতে শুরু করেছে। আর ব্যাকিং খাতের ওপর আস্থার অভাব দেখা দিলে তা আন্তর্জাতিক খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, বৈদেশিক বাণিজ্যের খরচ বাড়িয়ে তুলবে।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরো বলেন, কোনো আইনি কাঠামো তৈরি না করে আশির দশকে বেসরকারি খাতে ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এর ফলে দেখা গেল, এসব ব্যাংক যারা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তারা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে ৩০ শতাংশ আমানত তুলে নিয়েছেন। এর পুরো অংশই খেলাপি হয়েছে। তিনি বলেন, এখন কোনো নিয়মকানুন ঠিক না করে একক কোনো ব্যবসায়ীকে ব্যাংক অধিগ্রহণের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। ফলে পুরো অর্থনীতিকে কিছু কিছু ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি করে ফেলা হচ্ছে।

সিপিডি থেকে বলা হচ্ছে এখন কী করতে হবে, আমি বলব একটি ব্যাংক কমিশন করতে হবে। এর আগে একটি কমিটি করা হয়েছিল। সেখানে সিপিডির দেবপ্রিয় ছিলেন। তিনি দেবপ্রিয়কে প্রশ্ন করেন এই কমিটির সুপারিশ কি বাস্তবায়িত হয়েছিল। দেবপ্রিয় এই বিষয়ে মাথা নেড়ে না সূচক জবাব দেন।

তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে অনেক সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এইগুলোতো সূক্ষ্ম বিষয়। যেখানে অত্যন্ত স্থূলভাবে ব্যাংকিং খাতে সব নিয়মকানুন ভঙ্গ করে লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে, সেখানে সূক্ষ্ম রিফর্মের কথা বলে লাভ কী হবে। এই ভোটের আগে আমাদের বলা হলো, ঋণখেলাপি হলে ভোটে দাঁড়ানো যাবে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে খেলাপি ঋণের বিষয়টি প্রয়োগ করা হচ্ছে, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রভাবশালীদের বেলায় তা প্রয়োগ করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, আগামীতে যারাই ক্ষমতায় আসুক তাদেরকে বলতে হবে, তারা যেন ব্যাংকিং খাতকে অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্র না বানান। ব্যাংকিং খাত থেকে রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায় থেকে সুরক্ষা দিতেই হবে।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারি ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকেও অরাজকতা রয়েছে। আমরা এখন নির্দ্বিধায় বলতে পারব না বেসরকারি ব্যাংকে কোনো সমস্যা নেই। এখন ব্যাংকিং খাতে এক ধরনের ক্র্যাক দেখা দিয়েছে। এ ফাটল রয়েছে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে, ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় এবং সবশেষে এই ফাটল রয়েছে, সুপারভিশন ও মনিটরিংয়ে।

ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, এখানে সুশাসনের অভাব রয়েছে ব্যাংক পরিচালনা ক্ষেত্রের। তবে ব্যাংকিং খাতে এখনো ভালো মানুষ রয়েছে। কিন্তু তারা কিছু করতে পারছে না, তারা পেছনে পড়ে আছে। এর কারণ ‘বিকৃত প্রণোদনা’, যারা ব্যাংকের টাকা মেরে দিচ্ছে, ঋণখেলাপি হচ্ছে, তাদেরকেই বেশি সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। এটা পারভারসিফ ইনসেনটিভ বা বিকৃত প্রণোদনা।

তিনি বলেন,বাংলাদেশ ব্যাংকের যথেষ্ট স্বায়ত্তশাসন রয়েছে, তাদের উচিত এটাকে কাজে লাগানো। আমাদের সময়ও নতুন ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য চাপ ছিল। কিন্তু আমরা ‘বাইম মাছ, মাগুর মাছের মতো এদিক ওদিক করে বের হয়ে এসেছি। বলেছি, স্টাডি করতে হবে, সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে, আর তখনকার নীতিনির্ধারকরাও আমাদের কথায় কনভিন্স হয়েছেন। তারা বলেছেন, দরকার নেই ব্যাংক দেয়ার। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে।

খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ
খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, আমার দৃষ্টিতে এযাবৎকালের মধ্যে ব্যাংকের অবস্থা এখন সবচেয়ে নাজুক। সরকারি খাতের ব্যাংকের খেলাপি ঋণ এখন ৩৩ ভাগ, বেসরকারি খাতের ব্যাংকের ক্ষেত্রে তা ৬.৭ ভাগ। বেসরকারি খাতে ব্যাংকের পরিচালনা মূলধন মাত্র ৭ থেকে ৯ ভাগ দেন পরিচালকরা। আর বাকি ৯০ ভাগের যোগানদার হচ্ছে ব্যাংকের আমানতকারীরা। কিন্তু তাদের স্বার্র্থ দেখার জন্য ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে কেউ নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক এই আমানতকারীদের স্বার্থ দেখভালে অক্ষম। তিনি ব্যাংক কোম্পানির বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে বলেন, শুধু সরকারই নয়, ব্যাংক মালিকরাও ব্যাংকের ওপর অবৈধ প্রভাব রাখছেন। তিনি অভিযোগ করেন, অর্থমন্ত্রীর উৎসাহে ব্যাংক মালিকরা এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘাড়ে চেপে বসছে। গর্ভনর এখন সুবোধ বালকের ভূমিকায়, ফলে এখন যা হওয়ার তাই হচ্ছে। এক পরিবার থেকে ৪ জন পরিচালক নিয়োগের বিধান বাতিল করে পূর্বের ২ জন রাখতে হবে। তারা পর পর দুই টার্ম থাকতে পারবেন। তিন টার্ম নয়।

ড. জাহিদ হোসেন
বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ব্যাংকিং খাতে ২২ হাজার কোটি টাকারও বেশিও রক্তক্ষরণ কিন্তু হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক এবং ৪টি বেসরকারি ব্যাংক ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকে রেগুলেটরি ক্যাপিটাল স্ট্যান্ডার্ড রেশিওর মধ্যে পড়েনি। স্ট্রেশ টেস্টিং-এ দেখা গেছে, এসব ব্যাংকের বড় ঋণ গ্রহীতার মধ্যে যদি ৩টি ঋণ গ্রহীতা বিপদে পড়েন, তবে ২৩ ব্যাংকের রেগুলেটরি ক্যাপিটাল রেশিও নিচে চলে যাবে। বাংলাদেশ সরকারের বাজেট ডকুমেন্টে প্রতি বছর কনটেনজেন্সি লাইবেলিটির একটি তালিকা দেয়া হয়। সেটা যদি ঘেঁটে দেখা হয়, তবে দেখা যাবে, অন্তত এক-চতুর্থাংশ কনটেনজেন্সি লাইবেলিটির গ্যারান্টি দেয়া থাকে ব্যাংকের অনুকূলে। অর্থাৎ, এর ফলে যদি ডাক আসে, অর্থাৎ ওই ব্যাংকগুলো যদি বিপদে পড়ে তবে তার বোঝা সরকারকেই বইতে হবে। এটা কনটেনজেন্সি লাইবেলিটি।

ব্যাংকিং খাতের ওপর আস্থা কমে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ডিপোজিট-জিডিপি রেশিও ব্যাংকিং খাতে কমে যাচ্ছে। আমাদের যেখানে নিম্নমধ্য আয়ের দেশে বাড়ার কথা। কিন্তু তা নেপালের চেয়ে কম। তাই কিছু একটা করতে হবে। কারণ রিস্ক ইজ ভেরি হাই। সরকার নিঃশর্তভাবে ব্যাংকগুলোকে মূলধন ঘাটতি পূরণে পুনঃঅর্থায়ন করছে। এত দিন তা সরকারি ব্যাংকের বেলায় প্রযোজ্য হলেও এখন পরোক্ষভাবে তা বেসরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে করা হচ্ছে। সরকারি ব্যাংক যেখানে নিজেরই মূলধন ঘাটতি রয়েছে, সেই সরকারি ব্যাংকই আবার বেসরকারি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি মেটানোর জন্য শেয়ার কিনছে। এর অর্থ হচ্ছে, একজন যখন রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তিনিই আবার অন্য রক্ত স্বল্প ব্যক্তিকে রক্ত দান করছেন। এখানে আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা কতটুকু। আমরা ভেবে দেখতে পারি।

তিনি বলেন, দুর্নীতির কারণে বিপদগ্রস্ত ব্যাংক মালিকদের আবার আইনি সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক ব্যাংক কোম্পানি আইনের পরিবর্তন তার উৎকষ্ট উদাহরণ। এতে করে আমনতকারীদের পুরো কি ফেলে দেয়া হচ্ছে। এখন আবার নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ‘নিয়ন্ত্রকরা এখন নিয়ন্ত্রিত’ হচ্ছেন। এই নেক্সাসের নতুন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সামনে আরো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমরা ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এই পথ আমাদের সংশোধন করতে হবে, নতুবা নতুন পথ তৈরি করতে হবে।

ড. জাহিদ বলেন, এর সমাধান এক হলো, প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আইনি কাঠামো যেটা রয়েছে তা আন্তর্জাতিক কোনো মানদণ্ডে খারাপ নয়, এটাকে কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। সমাধান দুই হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অটোনমি রক্ষা করতে হবে। তা আজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তবে এই অটোনমি গ্রহণ করার ইচ্ছা বা ব্যবহার করার সক্ষমতা আমাদের থাকতে হবে। তিন নাম্বার সমাধান হলো একটি রেজুলেশন ফেমওয়ার্ক আমাদের করতে হবে। এই দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা।

সাবেক অর্থসচিব সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার লোপাটের কথা বলা হয়েছে। এই হিসাব এ বছরের জুন পর্যন্ত। এত দিন এই লোপাটের পরিমাণ আরো বেড়ে গেছে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে দুর্নীতির কারণে সমস্যাগ্রস্ত ফারর্মাস ব্যাংকের এমডি এহসান খসরু সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীরের নাম উল্লেখ না করে বলেন, এই ব্যাংকে এমন একজন লোক ছিল যিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের চেয়ে শক্তিশালী ছিলেন। তার কারণেই ব্যাংকের এই অবস্থা। সূত্র: নয়া দিগন্ত


পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন