‘সরকারি কেনাকাটা হবে উন্মুক্ত দরপত্রে’

  23-01-2019 10:20PM

পিএনএস ডেস্ক : দুর্নীতি ও অপচয় রোধে সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, এখন থেকে প্রতিটি সরকারি কেনাকাটায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির পরিবর্তে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে করা হবে। এ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে সরকারি ব্যয়ের গুণগত মান অনেক বাড়বে। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী হিসেবে বুধবার প্রথমবারের মতো ক্রয় ও অর্থনৈতিক-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক করেন তিনি। এ দু'টি কমিটির প্রধান হচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। বৈঠকে কমিটির অন্যান্য সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অর্থনীতি-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব এসেছিল। তা অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

মুস্তফা কামাল জানান, দরপ্রস্তাবে কিছু ত্রুটি আছে। সে জন্য ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু দরপ্রস্তাবটি কী, সে বিষয়ে কিছু বলেননি অর্থমন্ত্রী। বর্তমানে সরকারি কেনাকাটায় অনেক ক্ষেত্রে সীমিত দরপত্রের সুযোগ রয়েছে। এ নিয়ম থাকার ফলে পুরোপুরি প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের সুযোগ থাকে না। এতে করে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এজন্য সর্বক্ষেত্রে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর উন্নয়ন বাজেট বা এডিপিতে বরাদ্দের ৭৫ শতাংশ অর্থ খরচ হয় কেনাকাটায়। এর বাইরে রাজস্ব বাজেটের একটি অংশ খরচ হয় ক্রয়ে। সব মিলে জাতীয় বাজেটের সিংহভাগ টাকা খরচ হয় ক্রয় খাতে। কিন্তু এই ক্রয়ে অপচয় হচ্ছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন সহযোগীরা এ অভিযোগ করে আসছেন দীর্ঘ সময় ধরে। অপচয় রোধ করতে পারলে প্রতিবছর জিডিপিতে অতিরিক্ত শূন্য দশমিক ১ শতাংশ যোগ হতে পারত।

এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোথাও অনিয়ম, ত্রুটি দেখতে চান না। সরকারি কেনাকাটার বিষয়টি একটি বড় এলাকা। আমরা যদি এক্ষেত্রে সঠিক দাম নির্ধারণ করতে না পারি, তাহলে অপচয় বাড়বে। তাই অপচয় রোধ করার জন্য স্বচ্ছতার নিরিখে প্রতিটি কেনাকাটা উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে করার চেষ্টা করা হবে। এতে করে দুর্নীতি নিরুৎসাহিত হবে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল





@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন