পিএনএস ডেস্ক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্লাস প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী ১জানুয়ারী থেকে শুরু হয়। এর ফলে নতুন ভর্তি হওয়া এই শিক্ষার্থীরা ক্লাসের করার জন্য ক্যাম্পাসে আসা শুরু করে। কিন্তু অনেকের মাঝেই দেখা যায় আতঙ্ক, ভয়, শঙ্কা।
এই ভয়-ভীতির প্রধান কারণ ছিল র্যাগিং। র্যাগিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়রদের সাথে জুনিয়রদের পরিচিত হওয়ার মাধ্যম হলেও তা এখন বিশ্ববিদ্যালয় আগত নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য আতঙ্কের নাম। র্যাগিং এর নামে চলে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন। অনেকেই র্যাগিং এর ভয়ে ক্যাম্পাসে আসে না, এমনকি ছেড়ে দেয় পড়াশোনাও।
গত ৩ জানুয়ারী মূলত ১৩তম ব্যাচের র্যাগিং নিয়েই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এতে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা আরো বেশী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে সর্বত্র। এরই সুযোগে উচ্ছৃঙ্খল কিছু শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের সর্বত্র নতুন শিক্ষার্থীদের উপর বেপোরায়াভাবে র্যাগিং চালাচ্ছে। র্যাগিং এখন এতটাই মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে শিক্ষার্থীদের র্যাগিং দেয়া হচ্ছে শারীরিক এবং মানসিকভাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানায় যে, তাদের ক্লাসে, ক্যন্টিনে এবং ক্যাম্পাসের যত্রতত্র র্যাগিং দেয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়ত করার সময় তাদের শারীরিক এবং মানসিকভাবে অপর্যস্থ করা হয়।
আরো জানা যায়, মেয়েদের সাথেই অনেকেই অশ্লীল ভাষায় কথা বলে এবং অঙ্গভঙ্গিও করে থাকে।
র্যাগিং এর নামে মাত্রাতিরিক্ত এসব কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনের কোন ভূমিকাই দেখা যায়নি।
র্যাগিং এর ব্যাপারে উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, এই ব্যাপারে আমরা কিছুই জানিনা। কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। যদি কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।
এই ব্যাপারে প্রক্টর নূর মোহাম্মদ এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
পিএনএস/আলআমীন
জবিতে বেপরোয়া র্যাগিং, ঘুমিয়ে প্রশাসন
07-01-2018 04:35PM