ভালো নেই ঢাবি ছাত্র এহসান

  19-02-2018 11:39AM

পিএনএস ডেস্ক:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএস) হলে ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এহসান রফিকের শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছে না। এখনো বাম চোখে কিছু দেখতে পান না তিনি। মানসিক আচরণও স্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছেন তার বাবা রফিকুল ইসলাম। চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য এহসানকে শিগগিরই ভারতে নেয়া হবে বলে জানান রফিকুল ইসলাম।

রোববার রাতে মুঠেফোনে রফিকুল ইসলাম বলেন, ছেলের চোখের অবস্থা ও মানসিক আচরণের কোনো উন্নতি হচ্ছে না। আগের মতোই আছে। ডাক্তাররা বলছেন ভারতে চিকিৎসা নিতে। আমরা এখন ভারতে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছি। পাসপোর্ট পেলেই তাকে ভারতে নেয়া হবে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যেই পাসপোর্ট হাতে পাবো।

এহসান বর্তমানে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে আছেন। ডাক্তার বলছে, তাকে পরিবারের সঙ্গে থাকতে। কারণ তার আচরণ এখনো স্বাভাবিক নয়। বাড়িতে থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে চিকিৎসা নিচ্ছেন এহসান। এ মেডিকেল বোর্ডের প্রধান বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের চক্ষু বিভাগের প্রধান অধ্যপক নজরুল ইসলাম। বাকি দুই চিকিৎসকের একজন নিউরোলোজিস্ট, অন্যজন সাইকোলজিস্ট।

উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি এহসানকে এসএম হল ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেলের অনুসারীরা কয়েক দফায় মারধর করে। ওই তাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসাও দেয়া হয়নি। রাতভর নির্যাতনের পর সকাল থেকে কোনো খাবারও দেয়া হয়নি, আটক রাখা হয় হলের একটি কক্ষে। এক পর্যায়ে দুপুর আড়াইটার দিকে অন্য হলের এক বন্ধুর সহযোগিতায় আটক অবস্থা থেকে পালিয়ে আসে এহসান।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- হল ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ওমর ফারুক, সহ-সভাপতি আরিফ (আইইআর), সহ-সভাপতি তানিম (আইইআর), আবু তাহের (পপুলেশন সাইন্স), সহ-সম্পাদক রুহুল আমিন, সদস্য সামিউল ইসলাম সামী, আহসান উল্লাহ ও উপ-সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেল।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন