২ বছরেও চূড়ান্ত হয়নি ৩৭তম বিসিএস ফলাফল

  27-05-2018 08:30PM

পিএনএস : দুই বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হয়নি। এতে হতাশা ও বিভ্রান্তিতে রয়েছেন ফলাফল প্রত্যাশী প্রার্থীরা। অথচ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান এক বছরের মধ্যেই একটি বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আশ্বাস দিয়েছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রায় সাত মাস পরে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে প্রিলিমিনারি (প্রাথমিক বাছাই) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৮ হাজার ৫২৩ জন প্রার্থী। তাদের দাবি, অনেকটা তড়িঘড়ি করেই লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠেয় লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ২০১৭ সালের মে মাসে। এর পর আবার শুরু হয় দীর্ঘসূত্রতা।

লিখিত পরীক্ষার পাঁচ মাস পরে ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৫ হাজার ৩৭৯ জন। ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। দুইমাস ধরে চলমান এ পরীক্ষা শেষ হয় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর দুই বছরের অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো ৩৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে না।

৩৭ তম বিসিএসের প্রার্থী তৌফিক আজিজ বলেন, ফলাফল প্রকাশে এমন দীর্ঘসূত্রতা প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে। তাছাড়া বিলম্ব হলেও কবে নাগাদ ফলাফল হতে পারে এমন কোনো তথ্য পিএসসি না জানানোর কারণে এক ধরনের বিভ্রান্তি কাজ করছে।

গত মার্চে পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া তিনি পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন,এক বছরের মধ্যেই একটি বিসিএস চূড়ান্ত করবেন। এসব বক্তব্যেও কোনো বাস্তব প্রতিফলন না থাকায় পরীক্ষাথীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আজ রোববার পিএসসি চেয়ারম্যান সাদিক জানান, 'এখনো কোনো তারিখ ঠিক হয়নি। তবে আমরা কাজ করছি। যতো দ্রুত সম্ভব ৩৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল দিয়ে দেওয়া হবে।'

এদিকে তাহসীন রূপা নামে আরেক প্রার্থী বলেন, '৩৭ তম বিসিএসে কোটা সংক্রান্ত কোনো জটিলতা আছে কিনা আমরা জানি না। এ কারণেও ফলাফল বিলম্বিত হতে পারে। এ বিসিএসে কোটা থাকবে কি থাকবে না তা পিএসসি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জানালে আমরা সকল বিভ্রান্তি থেকে মুক্তি পেতাম। সুস্পষ্ট তথ্য পেলে কোটার প্রজ্ঞাপন দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলেও আমাদের হতাশা কাজ করবে না।'

শিক্ষাসংশিষ্টরা বলছেন, তারুণ্যের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিসিএস পরীক্ষায় দীর্ঘসূত্রতার জন্য। অথচ দেশের তরুণ মেধাবীদের একটা বড় অংশ স্বপ্ন দেখে বিসিএসের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করে দেশের সেবা করবে। এমন দীর্ঘসূত্র প্রক্রিয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন