হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

  01-10-2018 09:56PM

পিএনএস ডেস্ক : চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।

সামাজিক অবক্ষয় রোধে সোমবার থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

রবিবার সন্ধ্যায় এই বিষয়ে একটি আদেশ নোটিশ বোর্ডে টাঙায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। যা সম্পর্কে অবগত ছিল না কলেজটির অধিকাংশ শিক্ষার্থী। ফলে স্মার্টফোন এনে সোমবার সারাদিন শিক্ষার্থীদের অনেককে বিপাকে পড়তে হয়েছে।

কলেজটির দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মোবাইল শুধু যোগাযোগের মাধ্যমই নয় এটা অনেক তথ্য প্রযুক্তিকে সহজ করেছে। এ সময়ে এটি ডিজিটাল যুগের এনালগ সিদ্ধান্ত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাদশ শ্রেণির একছাত্রী বলেন, সব কিছুরই কোন না কোন অপব্যবহার আছে।

স্যাররা গত দুই বছরে কখনো আমাদের ক্লাসে স্মার্টফোনের অপব্যবহার না করার বিষয়ে কোন ব্রিফিং দিয়েছে বলে মনে পড়ে না। অথচ হঠাৎ নোটিশ জারি হলো স্মার্টফোন কলেজে নেয়া ও ব্যবহার নিষিদ্ধ। নোটিশটিও সন্ধ্যায় টাঙানোয় কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থী এই নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে জানতো না। তাই অনেকেই ফোন পকেটে বা ব্যাগে লুকিয়ে রাখতে হয়েছে।

নোটিশ বোর্ডে টাঙানো ওই আদেশে বলা হয়েছে, ১লা অক্টোবর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (একাদশ-দ্বাদশ) শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের কলেজ ক্যাম্পাসে স্মার্টফোন ব্যবহার ও বহন সম্পূর্ণ নিষেধ করা হলো।

কলেজ ক্যাম্পাসে কোনো শিক্ষার্থীর কাছে স্মার্টফোন পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে একাডেমিক প্রয়োজনে অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগের জন্য শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট সংযোগবিহীন স্বাভাবিক ফিচার ফোন ব্যবহার করতে পারবে। আদেশটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অঞ্জন কুমার নন্দী স্বাক্ষরিত।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অধ্যক্ষ প্রফেসর অঞ্জন কুমার নন্দী বলেন, উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে স্মার্টফোন থাকার প্রয়োজনটা কী! ক্লাস রুমে মোবাইল ব্যবহার করার কারণে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অনেক সময় তারা মনযোগ দিতে পারে না। এটা এদের পড়ালেখার প্রতিবন্ধকতা ও ক্যারিয়ার ধ্বংস করছে।

একই সঙে সামাজিক চরম অবক্ষয় হচ্ছে এর মাধ্যমে। যেটা কল্পনাও করা যায় না। তাছাড়া কলেজে স্মার্টফোন ব্যবহারে সরকারিভাবেও নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই কলেজের প্রশাসনিক বৈঠকে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন