ইবির ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ

  06-11-2018 12:06AM

পিএনএস ডেস্ক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্রের ক্রমিক সংখ্যায় অসঙ্গতি থাকায় পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করেছে অনুষদীয় সভা। সোমবার রাতে এ সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের একজন সিনিয়র শিক্ষক।

সোমাবার প্রথম শিফটে সকাল সাড়ে ৯টায় ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্রের ক্রমবিন্যাসে অমিল পাওয়া যায়। এ সময় কন্ট্রোল রুমের বিভ্রান্তিকর নির্দেশনায় একেক কক্ষে একেক নিয়মে পরীক্ষা সম্পন্ন করেন কর্তব্যরত শিক্ষকরা। পরে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয় এবং পরীক্ষা বাতিলের দাবি ওঠে।

এরই প্রেক্ষিতে রাতে ওই ইউনিটের অনুষদীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সিদ্ধান্তটি কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির কাছে পাঠোনো হবে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা রয়েছে বলেও জানা যায়।

তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাব্যক্তিরা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা শতভাগ ন্যায়বিচার পাবে।’

প্রসঙ্গত, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্রের ক্রমিক সংখ্যায় অসঙ্গতি দেখা যায়। প্রশ্নপত্রে হিসাববিজ্ঞান অংশের প্রশ্নের ক্রমিক নম্বর রয়েছে ৪৬-৬০ কিন্তু উত্তরপত্রে এই অংশের ক্রমিক নম্বর ৩১-৪৫। আবার ব্যবসায় শিক্ষা অংশের প্রশ্নের ক্রমকি নম্বর ৩১-৪৫ কিন্তু উত্তরপত্রের ক্রম হলো ৪৬-৬০। এছড়াও লিখিত অংশের প্রশ্নের নম্বর ৬১-৮০ কিন্তু উত্তর পত্রে লিখিত অংশের ক্রম ১-২০।

এসব অসঙ্গতি দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর পরীক্ষার হলে কর্তব্যরত শিক্ষকরা কন্ট্রোল রুমের সাথে যোগাযোগ করেন। এ সময় কন্ট্রোল রুম বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্ত দেয়। প্রথমে কন্ট্রোলরুম অনেক কক্ষের শিক্ষকদের উত্তরপত্রের ক্রম অনুযায়ী উত্তর দিতে ভর্তিচ্ছুদের নির্দেশনা দিতে বলে।

এ অনুযায়ী ওইসব রুমের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। আবার কন্ট্রোল রুম থেকে অনেক কক্ষের শিক্ষকদের প্রশ্নপত্রের ক্রম অনুযায়ী উত্তর দিতে বলে। সে অনুযায়ী ওইসব কক্ষের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এছাড়াও অনেক কক্ষ কোনো ধরনের নির্দেশনা ছাড়াই পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। আবার অনেক কক্ষে ওএমআর শিটে কাটাকাটি করে শিরোনাম পরিবর্তন করে। এতে ওই ওএমআরগুলো বৃত্ত ভরাট ব্যতীত অপ্রয়োজনীয় দাগ দেয়ায় বাতিল হয়ে যাবে।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন