ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থীতার সর্বোচ্চ বয়স ৩০

  29-01-2019 10:30PM

পিএনএস ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতার সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী সিন্ডিকেটের সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্য।

সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ডাকসুর সংবিধানের বিভিন্ন ধারায় যে সব পরিবর্তন আনা হয়েছে তা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. এনামুজ্জামান। তিনি বলেন, যে সকল শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষ স্নাতক সম্মান ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও এমফিল পর্যায়ে অধ্যয়নরত আছে এবং যারা বিভিন্ন আবাসিক হলে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে সংযুক্ত আছে এবং নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার তারিখে যাদের বয়স কোনক্রমে ত্রিশের বেশি হবে না, কেবলমাত্র তারাই ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটার হতে পারবে। সকল ভোটারই প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা রাখে।

এছাড়া যারা সান্ধ্যকালীন কোর্স, প্রোগ্রাম বা প্রফেশনাল এক্সিকিউটিভ বা স্পোশাল মাস্টার্স, এমএ, ডিপ্লোমা, এমএড, পিএইচডি, ডিবিএ, ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স অথবা এ দরনের অন্যান্য কোর্সে অধ্যয়নরত আছেন তারা ভোটার হতে পারবেন না। ত্রিশ বছরের উর্ধ্বে শিক্ষার্থীরা যে কোর্সে অধ্যয়ন করুন না কেন, তারা ভোটার হতে পারবেন না। সরকারি ও বেসরকারি, দেশে বা বিদেশে যে কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন শিক্ষার্র্থী ভোটার হতে পারবেন না। অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প কলেজের কোন শিক্ষার্থী ভোটার হতে পারবেন না।

গঠনতন্ত্রের প্রচলিত নিয়মানুসারে হলগুলোতে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের সুপারিশ ও সময়ের চাহিদা বিবেচনা করে কয়েকটি সম্পাদক ও সদস্যপদ সৃষ্টি করা হয়েছে। ডাকসুর সভাপতির ক্ষমতা ভারসাম্য প্রস্তাবনার ব্ষিয়টি সিন্ডিকেট বিবেচনায় নিয়েছে। সিন্ডিকেটের কার্যাবলি অনুমিত হওয়া ও সভার কার্যবিবরণী লেখার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি।
আচরণবিধির বিষয়ে তিনি বলেন, ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর দেওয়া সুপারিশ বিবেচনা করে কিছু আচরণবিধি প্রণয়ন করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, লিফলেট বা হ্যান্ডবিলে শুধুমাত্র সাদাকালো ছবি ব্যবহার করা যাবে, হলসমুহে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। প্রাধ্যক্ষ প্রয়োজনবোধে আরো ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করবেন। বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন রাখা হবে।

প্রচারণার সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত রাখা হয়েছে। সভা-সমাবেশ ও অডিটোরিয়ামে মাইকের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো যাবে। কোন প্রকার স্থাপনা, দেয়াল, যানবাহন ইত্যাদিতে হ্যান্ডবিল বা লিফলেট না লাগানোর বিষয়টি সংযুক্ত করা হয়েছে। সভা-সমাবেশের অনুমতি গ্রহণের সময় ৪৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ২৪ ঘণ্টা করা হয়েছে।

এছাড়া গঠনমূলক সমালোচনার সুযোগ সব সময় আছে। ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রার্থী বা নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা যাবে না। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো আছে। প্রয়োজনে আরো বসানো হবে। রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক অনুমোদিত ব্যক্তিরাই ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল




@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন