অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে পূজায় নির্বাচন হতে পারে না: ভিপি নুরুল

  15-01-2020 06:20PM

পিএনএস ডেস্ক : সরস্বতীপূজার দিনে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করায় সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কড়া সমালোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক। ‘কোনো ষড়যন্ত্র বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যই’ পরিকল্পিতভাবে পূজার দিনে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে পূজার দিনে নির্বাচন হতে পারে না।

আজ বুধবার বিকেলে ডাকসু ভবনে নিজের কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ভিপি নুরুল হক এসব কথা বলেন। গত ২২ ডিসেম্বর ওই কক্ষে নুরুল ও তাঁর সহযোগীদের ওপর ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের হামলার ঘটনার ২৩ দিন পর আজ তাঁরা ডাকসু ভবনে আসেন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটির ভোট। একই দিনে দেশব্যাপী সরস্বতীপূজা। সিটি নির্বাচনের এ তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের’ ব্যানারে বিক্ষোভ হয়েছে। কিছুক্ষণের জন্য শাহবাগ মোড়ও অবরোধ করেছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলনের নেতৃত্বে আছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের ডাকসু প্রতিনিধিরা নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করতে ইতিমধ্যেই আন্দোলনে সক্রিয় হয়েছেন।

পূজার দিনে সিটি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে ডাকসু ভিপি নুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সরস্বতীপূজার দিনে ঢাকা সিটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা সরকারের একটি নীলনকশা। বর্তমান নতজানু নির্বাচন কমিশন সরকারের কনসার্ন ছাড়া নিশ্চয়ই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেনি! কোনো ষড়যন্ত্র বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যই পরিকল্পনা করে এ কাজটি করা হয়েছে। বাংলাদেশ অবশ্যই অসাম্প্রদায়িক চেতনার একটি দেশ। সরস্বতীপূজা সনাতন ধর্মের একটি বড় উৎসব। এই দিনে নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে বা পিছিয়ে দেওয়া উচিত।

নুরুল হক আরও বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন চেয়ে করা একটি রিট হাইকোর্ট থেকে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। সেদিন মানুষ ভোট দেবে, নাকি তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করবে? তাই আমাদের দাবি, নির্বাচনের তারিখ হয় এগোতে হবে, নয়তো পেছাতে হবে। আমরা মনে করি, এখানে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কোনো ষড়যন্ত্র বা কারসাজি রয়েছে। পূজার দিনে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে।’

২২ ডিসেম্বর নিজের ও সহযোগীদের ওপর হওয়া হামলার বিষয়ে ভিপি নুরুল বলেন, ‘ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এবং মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাদের নেতৃত্বেই সেদিন আমাদের ওপর বর্বর হামলা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে হামলার বিচারের আশ্বাস দেওয়া হলেও আমরা দেখতে পাচ্ছি, হামলাকারীরা মধুর ক্যানটিনে বসে চা খাচ্ছেন, ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’ ভিন্নমতের মানুষের ওপর নির্যাতন বন্ধ করা ও সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করতে হলে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন ডাকসু ভিপি।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন