পিএনএস ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিরসনে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষা ও জীবনমানসহ সামগ্রিক পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে অছাত্রদের বিতাড়ন ও হল সংস্কারসহ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গতকাল মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রভোস্ট কমিটির এক সভা অনলাইন ভার্চুয়াল মিটিং প্লাটফর্ম জুমের মাধ্যমে উপাচার্য ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে জনসংযোগ দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে সিদ্ধান্তগুলোর বিষয়ে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিরসনে এবং আবাসিক হলের শিক্ষা ও জীবনমানসহ সামগ্রিক পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে হল প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত সমূহ বাস্তবায়ন করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সেগুলো হলো–
১। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর শুধুমাত্র বৈধ শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট হলের নীতিমালার আলোকে হলে অবস্থান করবে। যাদের ছাত্রত্ব নেই তারা কোনক্রমেই হলে অবস্থান করতে পারবে না। তাদেরকে হল প্রশাসন কর্তৃক দেয়া সময়ের মধ্যে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট কক্ষ/সিট ছেড়ে দিতে হবে। তীব্র আবাসন সংকট নিরসনে এর বিকল্প নেই।
২। হলের কোন কক্ষের মেঝেতে কোন শিক্ষার্থী অবস্থান করতে পারবে না। প্রয়োজনে, যথাযথ নিয়মে, ডাবলিং করতে পারবে।
৩। হল প্রশাসন যে সকল কক্ষে খাট/বেড নাই ছুটিকালীন সময়ে সে সকল কক্ষে নিয়মমাফিক খাট/বেড সরবরাহ করার ব্যবস্থা নিবেন।
৪। সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, উপরোক্ত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়িত হলে দীর্ঘদিনের গড়ে ওঠা কথিত ‘গণরুমের’ অবসান ঘটবে। তবে এই ‘গণরুমের’ অবসান ও ‘যাদের ছাত্রত্ব নেই তাদের হলে অবস্থান না করার’ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর আন্তরিক সহযোগিতা অত্যাবশ্যক বলেও সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
৫। বিশ্ববিদ্যালয় ছুটিকালীন সময়ের মধ্যে হল প্রশাসন হলের সংস্কার ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ সম্পন্ন করবে।
সভায় প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন সংযুক্ত ছিলেন।
পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল
ঢাবি প্রশাসনের ৫ সিদ্ধান্ত, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিরসনে
29-04-2020 09:44PM