‘চিরকুটের গান’ নিয়ে ভক্তদের মাঝে ফিরলেন লায়লা তাজনূর

  19-09-2018 03:47PM

পিএনএস : গানের পাখি লায়লা তাজনূর। মৌলিক গান নিয়ে আবারও ফিরলেন ভক্তদের মাঝে। সঙ্গীত পরিবারে বেড়ে ওঠা এই শিল্পীর গানগুলো দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে অনেক আগেই। মাঝে সঙ্গীতে কিছুটা বিরতি থাকলেও সদ্য মুক্তি পাওয়া চিরকুটের গান অনেকটা পূরণ করেছে সেই ঘাটতি। সাদামাটা'র ব্যানারে ‘চিরকুটের গান’ শিরোনামে ১৪ সেপ্টেম্বর ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে লায়লা তাজনূরের এই মিউজিক ভিডিওটি।

গানটি সম্পর্কে লায়লা তাজনূর গণমাধ্যমকে জানান, মৌলিক গানের কাজ আগেও করেছি কিন্তু এই গানটা আমার নিজেরই খুব পছন্দের একটি গান। গানটার অডিও ভালো রেসপন্স আসার পর শ্রোতাদের জন্য ভিজ্যুয়াল করার সিদ্ধান্ত নেই। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই প্রয়াস। সামনে আমার আরও বেশ কিছু কাজ আসছে।

এছাড়া ‘সাঁতাও’নামে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি। চিরকুটের গান’র গীতিকার ও পরিচালক ওয়ালিদ আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, চিরকুটের গান এক অনুভবের গল্প। মনে জমে থাকা কথাগুলো আমরা চিরকুটে প্রকাশ করি বহুকাল ধরে। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এসে আমরা সেই অনুভবে আবার ফিরে যেতে চেয়েছি। লায়লা তাজনূর অসম্ভব ভালো শিল্পি। তার কন্ঠের মতই সুন্দর তার বিনয়। আমি গুণী সংগীত পরিচালক সজীব দাস এর সুরে গানটা করতে পেরে ধন্য। আশা করি গানটা সবার ভালো লাগবে। আর ভিডিও পরিচালনার সময় আমি চেষ্টা করেছি গানের গল্পটাই পরিমিতভাবে তুলে ধরতে। দর্শক-শ্রোতাদের ভালো লাগলেই আমাদের কাজের সার্থকতা।

গানটির সুর ও সংগীতে ছিলেন- সজীব দাস, মডেল- আরিশ ও লিসা, ডিওপি- আনিক দাস। গানটি ‘সাদামাটা’ এর ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে।

উল্লেখ্য, লায়লা তাজনূর ছোট্ট থেকেই ছিল সঙ্গীতের প্রতি খুব অনুরাগী । মাত্র ৮ বছর বয়সে বিটিভির নতুন কুঁড়ি অনুষ্ঠানে তার অভিষেক হয়েছিল। লায়লা তাজনূরের মা আফরোজা বেগম (লুপু) একজন নজরুল সঙ্গীতশিল্পী। সঙ্গীতাঙ্গনে তার মায়ের পদাচারণ ছিল অনেক বিস্তীর্ণ। তার সঙ্গীত জগতে পা রাখার শুরুটা এবং পথচলার প্রতিটা ধাপে ছিল মায়ের অসামান্য অনুপ্রেরণা।

লায়লা তাজনূর মূলত: নজরুল সঙ্গীতশিল্পী হলেও তিনি আধুনিক ও ফোক সহ বেশ কিছু প্লে-ব্যাক গানও করেছেন। জীবনের অল্প সময়ে তিনি অনেক গুণিশিল্পীদের সাথেও গান করার সুয়োগ পেয়েছেন। বিটিভির এক বিশেষ আয়োজনে হাসান মতিউর রহমানের কথা ও সুরে ‘বঙ্গবন্ধু’কে নিয়ে একটি গান পরিবেশন করে সেই সময় তিনি ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিলেন।

২০০৩ সালে ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ’ প্রতিযোগিতায় দেশাত্ববোধক গান গেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে জাতীয় পুরষ্কার গ্রহণ করেন। তিনি ২০০৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং ২০০৪ সালে বাংলাদেশ বেতারে তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন